1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্বতমালার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পদক্ষেপ

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৭ অক্টোবর ২০১৩

ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ৬০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে সংবেদনশীল ‘ইকো-জোন' ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ খনন, পাথর কাটা, তাপবিদ্যুৎ নির্মাণ ইত্যাদির মতো কাজও নিষিদ্ধ করা হবে৷

https://p.dw.com/p/1A0sQ
Bildbeschreibung: Eine Gruppe Redwood-Bäume in den Santa-Cruz - Bergen Kaliforniens. Aufgenommen im Herbst 2012. Die gesamte Baumgruppe vom Typ der Küstenmammutbäume ist eigentlich ein einzelner Organismus, bei dem die Verschiedenen Triebe kreisförmig als einzelne Bäume emporwachsen *** Foto: Fabian Schmidt, privat aufgenommen, der DW zur Verfügung gestellt
ছবি: Fabian Schmidt

জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে ভারতের পশ্চিমে আরব সাগরের উপকূল বরাবর পশ্চিমঘাট পর্বতমালা এলাকা ইউনেস্কো-র চিহ্নিত বিশ্বের ১০টি হেরিটেজ অঞ্চলের অন্যতম৷ এখানকার ‘ইকো-সিস্টেম' কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেবিষয়ে গঠন করা হয়েছিল দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি৷ একটি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মাধব গ্যাডগিল কমিটি, অন্যটি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য কে. কস্তুরিরঙ্গন কমিটি৷ তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয় ঐ এলাকাকে পরিবেশগত দিক থেকে অতি স্পর্শকাতর ঘোষণা করার নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে৷

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চলে কোনো রকম খননকার্য, পাথর কাটা, তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ নিষিদ্ধ৷ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে নিয়মবিধি খুব কঠোর করা হয়েছে৷ এছাড়া, দূষণ ঘটায় এমন বিকাশমূলক প্রকল্প পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পর, স্থানীয় গ্রামসভা সবুজ সংকেত দিতে পারে৷ রাস্তাঘাট তৈরি, রেললাইন বসানো, পাহাড় কেটে চাষের জন্য জমি তৈরি, বৃক্ষ নিধন, গবাদি পশুর খাদ্য সংগ্রহের মতো মানুষের নানা কাজকর্মের দরুণ মানুষ আর বন্যপ্রাণীর মধ্যে বেধেঁছে সংঘাত৷ এ সবের মধ্যে রাখতে হবে এটা সুষ্ঠু ভারসাম্য৷

দুর্ভাগ্যের বিষয়, দুই বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে মিল নেই৷ গ্যাডগিল কমিটির সুপারিশ পশ্চিমঘাট পর্বতমালার ১৬০০ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই স্পর্শকাতর ‘ইকো-জোন' বলে ঘোষণা করা হোক৷ এ জন্য পশ্চিমঘাট ইকোলজিকাল কর্তৃপক্ষ গঠন করা দরকার৷ কমিটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কস্তুরিরঙ্গন কমিটির সুপারিশ মানুষের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের পরিপন্থী৷ কারণ তাতে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালানোর সুযোগ আছে৷ ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে৷

কস্তুরিরঙ্গন কমিটি ঐ এলাকার ৩৭ শতাংশ এলাকাকে ‘ইকো-জোন'-এর অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছে৷ সরকার কস্তুরিরঙ্গন কমিটির সুপারিশ গ্রহণে বেশি আগ্রহী৷ কারণ তাদের মতে, জৈব সুরক্ষার নামে মানুষের জীবিকার প্রশ্ন উপেক্ষা করা যায় না৷ পরিবেশগত দিক থেকে পশ্চিমঘাট পর্বতমালাকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে৷ জৈব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এলাকা, বনভূমি এবং মানব বসতি এলাকা৷ সংরক্ষিত এলাকায় ‘উইন্ড মিল' নির্মাণে আপত্তি নেই সরকারের৷ বৈশিষ্ট্যগত নিরিখে ৩৯টি রকমফের আছে পশ্চিমঘাট পার্বত্য এলাকায়৷ যেমন জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত বনভূমি – যার ২০টি কেরালায়, পাঁচটি তামিলনাড়ুতে, দশটি কর্নাটকে এবং চারটি মহারাষ্ট্রে৷

১৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পশ্চিমঘাট পর্বতমালার শুরু গুজরাট-মহারাষ্ট্র সীমানায় তাপ্তি নদীর দক্ষিণ দিক থেকে৷ আর সেটা গেছে আরব সাগরের উপকূল বরাবর ছয়টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে৷ গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও কেরালা৷ এই পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমিতে আছে পাঁচ হাজার বিরল প্রজাতির গাছপালা, কীট-পতঙ্গ ও বন্যপ্রাণী৷ এর মধ্যে ১৭০০ প্রজাতি বিশ্বের অন্যত্র নেই৷ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য প্রচুর বৃষ্টি হয়৷

আদতে কিন্তু প্রকৃত অর্থে পশ্চিমঘাটকে পর্বতমালা বলা যায় না৷ বলা উচিত পার্বত্য উপত্যকা৷ এর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কৃষ্ণা-গোদাবরী নদীর জলে ভালো চাষ হয়৷ ধান, বার্লি, আম, কলা, কাঁঠাল, গোলমরিচ, লবঙ্গ, এলাচ ইত্যাদি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য