1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপ সৃষ্টি করতে চান মোদী

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ মে ২০১৪

ভারতের ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ' ঠোকাতে আলাদা দপ্তর খোলার যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার নানা ব্যাখ্যা চলছে বাংলাদেশে৷ অনেকের ধারণা, নির্বাচনের আগে ও পরে মোদীর বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান একই রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1C3Hl
Indien Wahlen Narendra Modi in Gandhinagar
ছবি: Reuters

মঙ্গলবার ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়, ‘মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে একটি পৃথক বিভাগ ও দপ্তর খোলা হবে৷ আর ঐ দপ্তরের প্রধান দায়িত্ব হবে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলোতে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ' ঠেকানোর রূপরেখা ও ‘অনুপ্রবেশকারী' চিহ্নিত করা৷ একইভাবে পাঞ্জাব, রাজস্থান ও কাশ্মিরে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশ রোধ করাই এই দপ্তর খোলার উদ্দেশ্য৷

এই খবরে বাংলাদেশে স্বাভাবিকভাবেই আবারো নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে-পরের বিষয় নয়৷ মোদী মূলত তাঁর রাজনীতিই করছেন৷''

তিনি বলেন, ‘‘একদিকে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে চাপে রাখতে চান ট্রানজিটসহ নানা সুবিধা আদায়ের জন্য৷ আবার অন্যদিকে তিনি চান পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামকে নিয়ন্ত্রণে আনতে৷ পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামে মোদীর ফরমুলা এবার কাজে লাগেনি৷ বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা বা ‘বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী' ইস্যু ব্যবহার করে তিনি একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি৷ পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির দুর্গ অক্ষত আছে৷ তাই মোদী এখন চাইছেন, ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারের নির্বাচনে তাঁর ইস্যুগুলো কাজে লাগাতে৷''

Indien Wahlen Narendra Modi
‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে, নইলে এর সুযোগ নেবে মোদী সরকার’ছবি: Reuters

অধ্যাপক আহমেদ বলেন, ‘‘শুধু বাংলাদেশ কেন ভারতের নাগরিকরাও বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেন৷ এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ করলে আইনি ব্যবস্থার বিধান আছে সব দেশেই৷ এক দেশের নাগরিকরা আরেক দেশে অনুপ্রবেশ করলে সেটা ব্যক্তিগতভাবে করেন৷ কোনো সরকার এটাকে উৎসাহিত করে না৷ তাই এটা নিয়ে মোদীর বাড়াবাড়ি রাজনীতিরই অংশ৷ বাংলাদেশ সরকারকে তা বুঝতে হবে৷ কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে সমমর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কাজ করতে হবে৷''

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, ‘‘এ জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে৷ নয়ত এর সুযোগ নেবে মোদী সরকার৷ কারণ, বাংলাদেশে রাজনৈতি অনৈক্য তো সবাই জানে৷''

ড. আহমেদ বলেন, ‘‘ভারতের অনেক অভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে৷ মাওবাদী, কাশ্মির, উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে অনেক ঝামেলা আছে৷ তাই সামনের দিনগুলোতে কেন্দ্রের সঙ্গে মমতার লড়াই তীব্রই হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান