পাকিস্তানে তালেবান হামলা
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩তালেবানের হামলা চালানো নিরাপত্তা চৌকিটির দায়িত্বে ছিল পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিশেষ আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা৷ এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে নিহতদের মধ্যে নয় সেনা সদস্য এবং চার আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য রয়েছেন৷ এছাড়া দুই হামলাকারীর পরণে ছিল বিস্ফোরক ভর্তি জ্যাকেট৷ এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন এসব তথ্য৷
বেসামরিক চত্বরে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা একটি পরিবারের দশ সদস্যকে হত্যা করেছে বলেও জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তাটি৷ তিনি বলেন, সেখানে নিহতদের মধ্যে তিন নারী এবং তিন শিশুও রয়েছে৷ খুব ভোরে পরিচালিত এই হামলা কয়েকঘণ্টা স্থায়ী ছিল এবং এতে ১২ হামলাকারীও নিহত হয়েছে৷
খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্গম এলাকা সরাই নওরং'য়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে৷ ইতিমধ্যে তালেবান হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ তাদের মুখপাত্র এহসানউল্লাহ এহসান এই বিষয়ে জানিয়েছে, ‘চার আত্মঘাতী বোমারু হামলায় অংশ নিয়েছি৷'
টেলিফোনে তালেবান মুখপাত্র আরো জানিয়েছে, ‘সম্প্রতি মার্কিন ড্রোন হামলায় ওয়াজিরিস্তানে দুই তালেবান কমান্ডারের মৃত্যুর বদলা নিতে এই হামলা চালানো হয়েছে৷' এই জঙ্গি গোষ্ঠীর অভিযোগ, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ওয়াশিংটনের ড্রোন যুদ্ধকে সমর্থন করছে৷ তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ তাদের কথা হচ্ছে, আকাশপথে ড্রোন হামলা সেদেশের সার্বভৌমত্বের অবৈধ লঙ্ঘন৷
এখানে বলা প্রয়োজন, খাইবার পাখতুনখোয়া'র আরেক অঞ্চলে আত্মঘাতী হামলায় ২৮ ব্যক্তির মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সরাই নওরং'য়ে আক্রমণ চালায় তালেবান৷ পুলিশ জানিয়েছে, হাঙ্গু শহরে শুক্রবারের প্রার্থনা শেষে দুটি মসজিদ থেকে মুসল্লিরা বের হওয়ার পর আত্মঘাতী হামলাকারী ভিড়ের মধ্যে নিজের শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়৷ সেখানে নিহতদের অধিকাংশ শিয়া মুসলমান৷ হাঙ্গুতে দীর্ঘদিন ধরেই সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নিদের সঙ্গে সংখ্যালঘু শিয়াদের সংঘাত চলছে৷
এআই/এসি (ডিপিএ)