ইউক্রেন প্রসঙ্গে পুটিন ও ম্যার্কেল
২২ ডিসেম্বর ২০১৭বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাত সম্পর্কে টেলিফোনে কথাবার্তা বলেন৷ পরে বার্লিন ও মস্কো, উভয় রাজধানী থেকেই নিশিচত করা হয় যে, দুই নেতা রুশ যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষকদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ফিরিয়ে আনা সম্পর্কে একমত হয়েছেন৷ কিয়েভ সরকার ডনবাস এলাকায় রুশ পর্যবেক্ষকদের কাজ ব্যাহত করছেন ও তাদের রণাঙ্গণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন, বলে ক্রেমলিনের অভিযোগ ছিল৷
জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট জানান, ম্যার্কেল পূর্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতি সমাধানে পুটিনকে সাহায্য করতে বলেন৷ ক্রেমলিনের তরফ থেকে পরে জানানো হয়, দু'পক্ষ এ বিষয়ে একমত হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রুশ পর্যবেক্ষকদের প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত শর্তাবলির একটি তালিকা পেশ করবেন, যার মধ্যে ইউক্রেন সরকার ও রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীদের মধ্যে বন্দি বিনিময়েরও ব্যবস্থা থাকবে৷
২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে ইউক্রেনে রাশিয়া-সমর্থিত অভ্যুত্থান শুরু হওয়া যাবৎ ১০টি ভিন্ন ভিন্ন যুদ্ধবিরতি সম্পাদিত হয়েছে, কিন্তু দু'পক্ষই তার অব্যবহিত পরে পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ করেছে৷
শেষ যুদ্ধবিরতিটি কার্যকরি হয় গত আগস্ট মাসে৷ ইউক্রেনের জয়েন্ট সেন্টার ফর কন্ট্রোল অ্যান্ড কোঅর্ডেনিশান বা জেসিসিসি যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল এবং জেসিসিসি-তে রুশ কর্মকর্তারাও সামিল ছিলেন৷
কিন্তু গত সোমবার মস্কো ঘোষণা করে যে, জেসিসিসি-তে রুশ সামরিক কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কেননা জেসিসিসি-র ইউক্রেনীয় সদস্যরা রুশ সদস্যদের কাজ ব্যাহত করছেন ও তাদের রণাঙ্গণে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছেন৷ প্রতিক্রিয়া হিসেবে কিয়েভের কর্মকর্তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে শান্তি প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার অভিযোগ করেন৷ মস্কোর সিদ্ধান্তের ফলে পূর্ব ইউরোপে সংঘাতের তীব্রতা বাড়বে, বলে বুধবার বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়৷
ক্রেমলিন থেকে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে বলা হয় যে, রুশ পর্যবেক্ষকরা কেন পশ্চাদপসারণ করেছেন, তা জানার জন্য ম্যার্কেল পুটিনকে ফোন করেন – এবং রুশ পর্যবেক্ষকরা ইউক্রেনীয় তরফ থেকে যে সব বাধা ও প্ররোচনার সম্মুখীন হয়েছেন, পুটিন ম্যার্কেলকে সে বিষয়ে অবহিত করেন৷
জার্মান সরকারি মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্টের ভাষ্যে: ‘‘চ্যান্সেলর বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, এই কেন্দ্রের (জিসিসিসি-র) কাজ সুরক্ষিত করতে হবে৷''
উভয় নেতা ইউক্রেন সরকারের সৈন্যবাহিনী ও রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদিদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বন্দিবিনিময় ছাড়া একটি বড়দিনের যুদ্ধবিরতি সমর্থন করেন, বলে ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে৷
এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)