1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক শিল্পে সংকট ঘনীভূত

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৪ জুন ২০১৩

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের ক্রেতারা একে একে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে৷ ‘ওয়াল্ট ডিজনি’-র পর, এবার ব্রিটিশ ‘প্রাইমার্ক’ বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷ তারা জানিয়েছে, শ্রমিকদের সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে তারা আর পোশাক কিনবে না৷

https://p.dw.com/p/18urZ
ছবি: AP

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা ঝুঁকিপূর্ণ কোনো পোশাক কারখানার সঙ্গে কাজ করতে চায় না৷ বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় পাঁচ বছর মেয়াদি নিরাপত্তা প্রকল্পে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সহায়তা দিতে সম্মত ৫০টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘প্রাইমার্ক' একটি৷ এই প্রতিষ্ঠানটি সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার গার্মেন্টস থেকে পোশাক কিনত৷ প্রাইমার্ক বলেছে, তারা তাদের ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে আরো পাঁচ বছর হয়ত বাংলাদেশে থাকবে৷ কিন্তু তার মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তারা বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে৷

Bangladesch Rana Plaza Einsturz Rettungsarbeiten 26.04.2013
শ্রমিকদের নিরাপত্তা চায় ক্রেতারাছবি: Reuters

এর আগে গত ২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের পর ‘ওয়াল্ট ডিজনি' বাংলাদেশ থেকে কোনো পোশাক না নেয়ার ঘোষণা দেয়৷ তারা বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক কিনত, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা৷ আরো অনেক ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতে পোশাক নেবে কিনা – তা নিয়ে সংশয়ে আছে৷ ‘ওয়ালমার্ট'-ও বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি পোশাক কারখানা থেকে আর পোশাক নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে৷

সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশানস-এ আগুনের পর, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে৷ এরপর সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর পরিস্থিতি আরো জটিল হতে থাকে৷ পোশাক কারাখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের জিএসপি সুবিধা এখন সুতোর উপর ঝুলছে৷ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা থাকবে কিনা – সে ব্যাপারে ওবামা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী ৩০শে জুন ৷ বাংলাদেশ সরকার নেতবিাচক পরিস্থিতি এড়াতে মন্ত্রিসভায় ‘টিকফা' চুক্তির খসড়া অনুমোদন করেছে৷ তবে তাতেও জিএসপি রক্ষা হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়৷

Großbrand in Bangladesch
বিজিএমইএ বলছে ক্রটিপূর্ণ কারখানা চলতে দেয়া হবে নাছবি: Reuters

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও চাপের মুখে রেখেছে বাংলাদেশকে৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক কারাখানার নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তারাও বাংলাদেশ থেকে পোশাক নেবে কিনা – তা নতুন করে ভেবে দেখবে৷

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সভাপতি আতিকুল ইসলাম ডয়চে ভলেকে বলেন, তারা আন্তর্জাতিক চাপ ও উদ্বেগের ব্যাপারে সচেতন৷ তিনি জানান, ক্রটিপূর্ণ কারখানা চলতে দেবেন না তারা৷ চলতি বছরের মধ্যেই তারা বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার পোশাক কারখানার ভবন, নিরাপত্তা এবং কর্মপরিবেশ গ্রহণযোগ্য মানে আনার কাজ শেষ করবেন৷ তাঁর আশা, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাকে গ্রহণযোগ্য মানে নিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিশ্চয়ই যৌক্তিক সময় দেবে৷

বিজিএমইএ-র সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, সরকার, বিজিএমইএ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছে৷ তাই নিশ্চয়ই গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য