প্যারিসে আততায়ীর হামলায় নিহত জার্মান পর্যটক, আহত ২
৩ ডিসেম্বর ২০২৩শনিবার রাতে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের কাছে সেন নদীর তীরে হামলার ঘটনাটি ঘটে৷ হামলায় এক জার্মান তরুণ নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরো দুইজন আহত হয়েছেন৷ এই ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ফ্রান্স ও জার্মানির সরকার৷ জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক নিহতের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন৷ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেয়া পোস্টে তিনি এই ঘটনাকে ‘সন্দেহজনক ইসলামিস্ট হামলা' হিসেবে অভিহিত করেন৷ বেয়ারবক লিখেছেন, ‘‘ইউরোপে ঘৃণা ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই৷''
শনিবার রাতে এক্স-এ দেয়া পোস্টে ঘটনাটিকে‘সন্ত্রাসী হামলা'হিসেবে উল্লেখ করে নিহতের পরিবার ও নিকটজনদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ দেশের জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী প্রসিকিউটর দপ্তর এই ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানান তিনি৷
এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে
শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেরাল্ড দারমানা৷ তিনি বলেন হামলাকারী প্রথমে জার্মান এক পর্যটক দম্পতির উপরে হামলা চালায়৷ তাদের একজন নিহত ও অন্যজন আহত হন৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারী বির-আকেম সেতু পার হয়ে সেন নদীর অপর প্রান্তে যান৷ ধরা পড়ার আগে হাতুড়ি দিয়ে আরো দুইজনের উপর হামলার চেষ্টা চালান তিনি৷ এতে একজন আহত হন৷
দারমানা বলেন, হামলাকারী গ্রেপ্তারের পর বলেছে ‘আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে মুসলিমদের মৃত্যু তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না'৷
মন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালে ফরাসি কর্তৃপক্ষ ভেস্তে দেয়া একটি হামলা পরিকল্পনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন হামলাকারী৷ কট্টরপন্থি ইসলামের প্রতি তার সমর্থন ও উল্লেখযোগ্য মানসিক সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষের জানা ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি নাম উল্লেখ না করে এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, আততায়ী জন্মসূত্রে ফ্রান্সের নাগরিক৷
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের প্রেক্ষিতে ফ্রান্স ও জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ ‘ইসলামিস্ট হামলার' উচ্চ হুমকির সতর্কতা জারি করেছে৷ অক্টোবরে স্কুলে ছুরি হামলা চালিয়ে এক শিক্ষককে হত্যার ঘটনার পর সন্ত্রাসী হুমকির সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়েছিল ফ্রান্স৷ এই ঘটনার কয়েকদিন পর বোমা হামলার হুমকির মুখে লুভ্রে জাদুঘর ও ভার্সাই প্রাসাদ খালি করে কর্তৃপক্ষ৷
এফএস/আরকেসি (এএফপি, রয়টার্স)