প্লাস্টিক বোতলের যুগ কি তাহলে শেষ?
২৬ এপ্রিল ২০১৭বলছি, খাওয়ার যোগ্য ছোট ছোট পানির বলের কথা৷ দেখতে অনেকটা পিংপং বলের মতো এসব পানিবাহী বোতল কার্যত পুরোটাই খাওয়া যায়৷ আর এতে খাটুনিও কম৷
লন্ডনেরস্কিপিং রকস ল্যাব ইতোমধ্যে এই পানির বল নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছে৷ পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাথলিটদের খেতে দেয়া হয়েছে তা৷ সাধারণ মানুষকে পান করার সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ শুরুতে অনেকেই মুখে দেয়ার আগে খানিকটা বিস্ময় নিয়ে তাকালেও পান করার পর হাসিই দিয়েছেন৷ বিশেষ ধরনের সমুদ্র শৈবাল ব্যবহার করে তৈরি এসব বোতলে দীর্ঘ সময় পানি রাখা যায়৷ আর কেউ চাইলে উপরে থাকা পাতলা আবরণটা সরিয়ে যে কোনো সময় তা পান করতে পারেন৷
এমন পানি বলের উদ্ভাবকরা আশাবাদী যে, শীঘ্রই এগুলো বাজারে ছাড়া সম্ভব হবে৷ আর তখন প্লাস্টিকের পানির বোতলের চাহিদা কমতে শুরু করবে, যা পরিবেশের জন্য হবে বিশেষ উপকারের৷ কেননা, একেকটি প্লাস্টিক বোতল শতশত বছর ধরে আবর্জনা আকারে থেকে যায়, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে অনেক সময় নেয়৷ অন্যদিকে, জীবাণুবিয়োজ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি পানি বল পরিবেশের কোনো ক্ষতিই করে না, এগুলো রিসাইক্লিংয়েরও কোনো ব্যাপার নেই৷
সুতরাং, প্লাস্টিক বোতলকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি নিয়ে নিন৷ আর অপেক্ষায় থাকুন পানি বলের!
এআই/এসিবি