ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন মডারেটর
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ফেসবুকে প্রতিনিয়ত নানা রকম কন্টেন্ট প্রকাশ করা হয়৷ এসবের মধ্যে মানুষ জবাই দেয়া থেকে শুরু করে শিশু নিগ্রহ অবধি নানা ধরনের বিভৎস কন্টেন্টও থাকে৷ ফেসবুকের যেসব মডারেটর কন্টেন্ট যাচাই-বাছাই করেন, তাঁদের অনেক সময় বাধ্য হয়েই সেসব ছবি এবং ভিডিও দেখতে হয়, যা তাঁদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে৷
ইন্টারনেট জায়ান্টটির সাবেক কন্টেন্ট মডারেটর ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন এই অভিযোগে যে, প্রতিষ্ঠানটি কন্টেন্ট মডারেটরদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ অথচ, শুধুমাত্র কাজের খাতিরে ভয়াবহ সব কন্টেন্ট দেখতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ৷
২০১৭ সালের জুন মাসে নয় মাসের জন্য ফেসবুকে চাকুরি নিয়েছিলেন স্কলা৷ চাকুরিরত অবস্থায় মানসিক সমস্যায় পড়েন ২৮ বছর বয়সি এই নারী৷ তাঁর এক আইনজীবী শুক্রবার জানিয়েছেন, আমাদের খদ্দের ফেসবুকের কাছে একটি ‘মেডিক্যাল মনিটরিং ফান্ড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন, যা দিয়ে মানসিক সমস্যায় ভোগা কন্টেন্ট মডারেটরদের সহায়তা করা হবে৷
ইতোমধ্যে মামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক৷ তবে প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের স্বার্থরক্ষার বিষয়াদি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বলেও জানিয়েছে৷
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে এক ফোরাম পোস্টে ফেসবুক উল্লেখ করেছিল, প্রতিষ্ঠানটির সাড়ে সাত হাজার কন্টেন্ট মডারেটরের একটি টিম রয়েছে, যার আকার ক্রমশ বড় হচ্ছে৷ এই টিমের মধ্যে যাঁরা বিভৎস কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের দেখভালের জন্য চারজন মনরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছে বলেও দাবি করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সামাজিক যোগাযোগ সাইটটি৷
উল্লেখ্য, জার্মানিতে কন্টেন্ট মডারেশনের জন্য দু'টি আলাদা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে ফেসবুক৷ এগুলো হচ্ছে, এসেনে অবস্থিত কম্পিটেন্স কল সেন্টার এবং বার্লিনে অবস্থিত আর্ভাতো৷ ফেসবুকে কোনো কিছু নিয়ে রিপোর্ট করা হলে এখন আগের চেয়ে অনেক দ্রুত তাতে সাড়া দেন জার্মানিতে কর্মরত মডারেটররা৷
এআই/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)