গ্যোটে ইন্সটিটিউট
৯ জুন ২০১২গ্যোটে ইন্সটিটিউটের বাংলাদেশ শাখার অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান আশরাফুল আলম ডিডাব্লিউ এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তুলে ধরলেন বাংলাদেশে জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নানা কর্মকাণ্ডের কথা৷ তিনি জানান, সেখানে এ ওয়ান থেকে সি টু লেভেল পর্যন্ত জার্মান ভাষা শেখানো হয়৷ এসব ভাষা কোর্সে মূলত দুই ধরণের শিক্ষার্থী লক্ষ্য করা যায়৷ এক ধরণের শিক্ষার্থী হলো যাদের স্বামী কিংবা স্ত্রী জার্মানিতে অবস্থান করছেন৷ তাই তারাও পারিবারিক কারণে জার্মানিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জার্মান ভাষা শিখতে আসেন৷ আর অন্য শিক্ষার্থীরা সাধারণত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী৷ তারা মূলত জার্মানিতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী৷ সম্প্রতি এসব ভাষা কোর্সে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে৷ এমনকি প্রতি বছরের চারটি সেমিস্টারে নিবন্ধন শুরু হলে দেখা যায় যে, প্রাথমিক কোর্সগুলোতে প্রথম তিন দিনেই নির্ধারিত আসন পূর্ণ হয়ে যায়৷ জার্মান ভাষার প্রতি তরুণ প্রজন্মের অধিক আগ্রহের ব্যাপারে অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি জার্মান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিয়মাবলী সহজতর করার কথা উল্লেখ করেন৷
আলম আরো জানান, গ্যোটে ইন্সটিটিউটের ঢাকা দপ্তরে আয়োজন করা হয় শিল্প ও সংস্কৃতির নানা প্রদর্শনী, সংগীত, নৃত্য ও চলচ্চিত্র উৎসব৷ বাংলাদেশের শিল্পীদের সাথে যৌথভাবে কিছু প্রদর্শনী হয়ে থাকে৷ আবার গ্যোটে ইন্সটিটিউটের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনীর জন্য কিছু শিল্পকর্ম পাঠানো হয়৷ সেগুলো পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শাখায় প্রদর্শনীর পর আবার জার্মানিতে ফিরিয়ে আনা হয়৷ এছাড়া জেন্ডার বিষয়ক একটি কর্মসূচি রয়েছে ঢাকাস্থ গ্যোটে ইন্সটিটিউটের৷ ‘রেইনবো' নামের এই অনুষ্ঠানটির প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে৷
জার্মানিতে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য কর্মরত সংস্থা ডিএএডি'র পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি সেখানে সপ্তাহে তিন দিন নির্ধারিত সময়ে তাদের পরিষেবা প্রদান করেন বলেও জানান আলম৷ এছাড়া ঢাকা দপ্তরে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বই সমৃদ্ধ একটি পাঠাগার৷ সেখানে নির্ধারিত সময়ে যে কেউ বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারেন৷ আর ঢাকায় চারটি এবং চট্টগ্রামে একটি সহযোগী বিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে জার্মান ভাষা শেখার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের শিশু-কিশোররা৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম