বাংলাদেশে টেলিমেডিসিন সেবা
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪টেলিমেডিসিনের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে, একেবারে চিকিৎসকের সামনে না থেকেও চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন রোগী৷ এ জন্য অবশ্য কারিগরি কিছু সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন হয়৷ যেমন ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এবং ভিডিও চ্যাটের জন্য ওয়েবক্যাম৷ এছাড়া আনুষাঙ্গিক কিছু চিকিৎসা সরজ্ঞাম একাজে সহায়ক৷
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন রয়েছে মোবাইল এবং ইন্টারনেট সুবিধা৷ আর এসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে টেলেমেডিসিন সেবাও বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৯ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে বলেন, ‘‘গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় বর্তমানে ১৩ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে৷ এসব ক্লিনিকে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷ তাদের ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে৷''
ঢাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের এক বৈঠকে একথা বলেন তিনি৷ এসময় তিনি ই-হেলথ ও টেলিমেডিসিন সেবার কথাও উল্লেখ করেন৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন রয়েছে৷
অনলাইন পত্রিকাটিতে চলতি বছরের চার মে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য রয়েছে৷ সেসময় বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস-এর ১২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠী গ্রামে থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা পাচ্ছেন৷ উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সব হাসপাতালে ওয়েব ক্যামেরা ও ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে৷''
শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ডিজিটাল নেটওয়ার্কে যুক্ত করার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি৷ এর কার্যক্রম চলছে৷''
প্রসঙ্গত, টেলেমিডিসিন সেবা সাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে রয়েছে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোন৷ গত বছরের দুই জুন এসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশের গ্রামাঞ্চলে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা দিতে মূলত টেলিমেডিসিন সেবা সম্প্রসারণ করেছে গ্রামীণফোন৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ