বাতিল বিমান রিসাইক্লিং
২০ জুন ২০১৮কোনো বিমান শেষবারের মতো জমি স্পর্শ করার পর কী ঘটে? কয়েক লক্ষ মাইল চলার পর বিশাল উড়োজাহাজ আবর্জনার পাহাড়ে পরিণত হয়৷ এবার শুধু টুকরোগুলি ফেলার অপেক্ষা৷
এক ইউরোপীয় গবেষণা উদ্যোগ এই প্রক্রিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর করার পথ খুঁজছে৷ এক্ষেত্রে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ সবার আগে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ শনাক্ত করতে হবে এবং ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব বিমানের নক্সায় সেগুলি সামিল করতে হবে৷ প্রকল্পের সমন্বয়ক আইচে চেলিকেল বলেন, ‘‘যে সব অ্যালয় ও ধাতু উদ্ধার করা হয়, তার মধ্যে টাইটানিয়াম খুঁজতে হয়৷ সেটি অ্যালুমিনিয়ামের চেয়েওদামী৷ আমরা বিমানের গোটা জীবনকাল বিশ্লেষণ করে এই সব সমস্যা ছাড়াই বিমান ডিজাইন করতে চাই৷ ভবিষ্যতে অনেকটা রিসাইক্লিং-এর প্রয়োজন অনুযায়ী এমন ডিজাইন সৃষ্টি হবে৷''
গোটা বিশ্বে বিমানের সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ আগামী ২০ বছরে ইউরোপে প্রায় ৬,০০০ বিমানের আয়ু শেষ হয়ে যাবে৷ তাই সেগুলি ভেঙে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াকে লাভজনক করা অত্যন্ত জরুরি৷ পরিবেশের উপর তার প্রভাবও বড় দুশ্চিন্তার কারণ৷ শাতোরু বিমানবন্দর কর্মকর্তা মারত্যাঁ ফ্রেসিন বলেন, ‘‘বিমানের আয়ু শেষ হবার পর ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অতি সম্প্রতি শিল্পজগতের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে৷ তাই আমাদের আচরণবিধি ও সেরা সমাধানসূত্রগুলি স্থির করতে হবে৷ কড়া পরিবেশগত বিধিনিয়মের আওতায় যন্ত্রাংশ খুলে উপকরণ রিসাইক্লিং করতে হবে৷''
ক্ষতিকর তরল ও তেজস্ক্রিয় পদার্থ দূর করার পর বিমান টুকরো করার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে৷ এই পর্যায়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ চিহ্নিত করা অত্যন্ত জরুরি৷ তাই সুসংহতভাবে তার সন্ধান শুরু করতে হয়৷ ভালিয়ে এভিয়েশন কোম্পানির ওলিভিয়ে দিয়ো বলেন, ‘‘আমরা সব মূল্যবান যন্ত্রাংশ উদ্ধার করি৷ ল্যান্ডিং গিয়ার, ইঞ্জিন, এভিয়নিক্স, এয়ার কন্ডিশনিং ইত্যাদি৷ এ সব সেকেন্ডহ্যান্ড বাজারে বিক্রি করা যায়৷''
একটি বিমানে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালুমিনিয়াম, ১৫ শতাংশ ইস্পাত এবং ১০ শতাংশ ‘প্রেশাস মেটাল' থাকে, যেমন টাইটানিয়াম৷ এই প্রক্রিয়ার কিছু অংশ কতটা লাভজনক, তা নিয়ে আলোচনা চলছে এবং অবশ্যই এর সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে৷