বার্লিনালে
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩জার্মানির বার্লিন শহরে এটা তারেকের প্রথম সফর৷ ডয়চে ভেলের অ্যাকাডেমির মাসব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে এই সফর তাঁর৷ জার্মানি সম্পর্কে জানতে চাইলে এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা বলেন, ‘‘ঠাণ্ডা ছাড়া সবই ভালো লাগছে আমার৷ খুব গোছানো, সংগঠিত একটি শহর বার্লিন৷ অনেকে ঘোরা হয়েছে৷''
১৯৮৮ সাল থেকে ঢাকায় একটি স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছেন তারেকরা৷ সর্বশেষ গত ১৩ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবধি অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব৷ ডয়চে ভেলে অ্যাকাডেমিতে তারেকের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সঙ্গে এই উৎসবের সম্পর্ক রয়েছে৷ এই প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থাকার সুযোগ পান তারেক৷ এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রথমবার এই উৎসবে অংশ নিয়েছি৷ আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা শুধু চলচ্চিত্র উৎসব না৷ এর সঙ্গে আরো অনেক কিছু সম্পৃক্ত৷''
ডিজিটাল প্রযুক্তির আগ্রাসনের কারণে সিনেমার ভবিষ্যৎ ক্রমশ শেষ হয়ে যাচ্ছে, এরকম এক কথা অনেকেই বলেন৷ তারেকও শুনেছেন সেকথা৷ কিন্তু বার্লিনালে তাঁকে বুঝিয়ে দিচ্ছে, প্রযুক্তি আসলে সিনেমার উপরে সেভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে না৷ তিনি বলেন, ‘‘এই উৎসবে আমি দেখেছি, প্রযুক্তি সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতায় যে পরিবর্তন আনছে, সেটাও এখন কাজে লাগানো হচ্ছে৷''
চলচ্চিত্র উৎসব ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অনেক কিছুই তারেক জেনেছেন এবারকার বার্লিন সফরে৷ তাঁর ধারণাই ছিলো না যে, একটিমাত্র সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনেক বড় উৎসব ব্যবস্থাপনা সম্ভব৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে সফটওয়্যারটির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তারেক৷ তিনি বলেন, ‘‘ইভেন্টিভাল নামক একটি সফটওয়্যার আছে৷ সাবেক চেকোস্লোভাকিয়ার একজন এটি তৈরি করেছেন৷ তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে৷ আমি বলবনা, এই সফটওয়্যারটি আমাদের দরকার৷ কেননা এটা আমাদের তুলনায় একটু দামি৷ কিন্তু আমার জন্য যেটা অভিজ্ঞতার ব্যাপার, সেটা হচ্ছে উৎসব আয়োজন এবং ব্যবস্থাপনার জন্য যে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়, এটা আমি মনে করি, অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷''
ইতোমধ্যে দেশে ফিরে গেছেন তারেক আহমেদ৷ বার্লিন সফর তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে৷ সেসব অভিজ্ঞতা দেশে কাজে লাগাতে চান এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা৷ ইতোমধ্যে এঁকে ফেলেছেন নতুন কিছু ছক৷ এখন সেসব বাস্তবায়নের অপেক্ষা৷