1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়ার্ন ফ্যানদের প্রত্যাশা তুঙ্গে

৯ আগস্ট ২০১৩

গত মরসুমে ইয়ুপ হাইনকেস বায়ার্নকে ত্রিমুকুটে সাজিয়ে দিয়ে যাওয়ার পর নতুন কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা পড়েছেন বিপদে৷ এমনকি বলতে বাধ্য হয়েছেন: ‘‘আমি শুধু একজন সাধারণ কোচ, কোনো সুপার ট্রেনার নই৷’’

https://p.dw.com/p/19MVu
Trainer Pep Guardiola vom FC Bayern München steht am 09.07.2013 während eines Testspiels im italienischen Arco gegen Brescia Calcio am Spielfeldrand. Der Bundesligist bereitet sich vom 04.07.2013 bis 12.07.2013 in einem Trainingslager in Arco auf die Saison 2013-14 vor. Foto: Karl-Josef Hildenbrand/dpa +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

গুয়ার্দিওলা কষ্ট করে জার্মান শিখেছেন৷ যেভাবে হোক, যতটুকু হোক, মিডিয়াকে জার্মানেই তাদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন৷ মানুষটির আন্তরিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠতে পারে না৷ বায়ার্নও গুয়ার্দিওলাকে যে স্কোয়াড দিয়েছে, তাতে মারিও গ্যোৎসে কিংবা টিয়াগো আলকান্তারার মতো দেশি-বিদেশি উঠতি তারকারা এখনও যুক্ত হচ্ছে৷

বার্সেলোনার সাবেক সুপার কোচ পেপ-এর কাছে বায়ার্ন ফ্যানদের প্রত্যাশা তুমুল হবেই৷ কিন্তু সেটা এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটা বর্ণনা করেছেন পেপ নিজে: ‘‘সব সময় জেতাটা খুব সহজ নয়৷ লোকে ভাবে আমরা প্রতিবার ছয় বা সাত গোলে জিতব, যা সম্ভব নয়৷ ফ্যানরা ক্রমেই আরো বেশি চায়৷ কিন্তু আমি টিমের সঙ্গে এসেছি তো মাত্র ছয় বা সাত সপ্তাহ আগে৷ আমার আরো সময় চাই৷''

গুয়ার্দিওলা-কে সময় দিতে বায়ার্ন ফ্যানদের আপত্তি নেই৷ কিন্তু পেপ-কে, বায়ার্নকে জিতে যেতে হবে৷ এটা যেন এক হিসেবে ইয়ুপ হাইনকেস-এর অভিশাপ৷ বায়ার্ন তাদের প্রবীণ সাথী ও কোচকে যেভাবে বিদায় দিয়েছে, পেপ গুয়ার্দিওলার আগমনে আত্মহারা বায়ার্ন ফ্যান ও কর্মকর্তারা – এবং সেই সঙ্গে জার্মান মিডিয়া – যে রকম দায়সারা ভাবে বুন্ডেসলিগার ইতিহাসে একজন সেরা কোচকে বিদায় দিয়েছে, তাতে হাইনকেস বিশেষ সুখী হননি এবং তাঁর হাবভাবে প্রকাশও পেয়েছে৷ এবার গুয়ার্দিওলার উপর চাপ দেখে হাইনকেস যেন মুচকি হেসে বলছেন: আরো ক্ষুদ্র মৌচাক রচো দেখে যাই৷

FC Bayern Munich head coach Pep Guardiola, left, attends his first training session in the Allianz Arena stadium in Munich, southern Germany, on Wednesday, June 26, 2013. (AP Photo/Matthias Schrader)
বায়ার্ন দলের সাথে গুয়ার্দিওলাছবি: picture alliance/AP Photo

পরিবর্তন তো আসবেই

গুয়ার্দিওলা যে তাঁর নিজের ‘সিস্টেম' নিয়ে আসবেন, সেটা জানাই ছিল৷ কাজেই হাইনকেসের ৪-২-৩-১ ফর্মেশন বদলে ৪-১-৪-১ হয়ে গেছে৷ মিডফিল্ডে হাভি মার্তিনেস আর বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার-এর জুটি সম্ভবত ভাঙতে চলেছে: শোয়াইনস্টাইগারের ভূমিকা হবে আরো কেন্দ্রীয়, মার্তিনেসকে সেন্টার ব্যাক হিসেবে ব্যাক সিট নিতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি৷ গুয়ার্দিওলার স্কোয়াডে স্টারদের কোনো অভাব নেই – গোলে মানুয়েল নয়ার থেকে ফরোয়ার্ডে রিবেরি-রবেন৷ এক ডর্টমুন্ডের রবার্ট লেভান্ডোভস্কি যা হাত ফস্কে গেছে৷

ফস্কে গেছে, সেটা হয়ত ভালোই, কেননা প্রথম একাদশের অঙ্গ হিসেবে মাঠে নামার জন্য খেলোয়াড়দের মধ্যে টানাটানি এবার শুরু হবে৷ কেউ ফর্ম কি ফল দেখাতে না পারলেই ফ্যানরা আর মিডিয়া তার কাঁচা মাথা নেবে – এবং সেই সঙ্গে কোচ গুয়ার্দিওলার৷ নিজেদের তুমুল প্রত্যাশার চাপেই বায়ার্ন ও তাদের নতুন স্টার কোচের তলিয়ে যাবার একটা সম্ভাবনা একেবারে নাকচ করা যায় না – নয়তো ফুটবল ফুটবল হবে কেন?

যাই হোক, এই শুক্রবার নতুন মরশুমের প্রথম খেলায় ম্যোনশেনগ্লাডবাখকে মিউনিখে স্বাগত জানাবে বায়ার্ন৷ দু'বছর আগে ঠিক এই গ্লাডবাখের কাছেই মরশুমের প্রথম খেলায় ১-০ গোলে হেরেছিল বায়ার্ন৷ এবার এই দুই অসমের মোলাকাত টেলিভিশনে দেখবে একশোটির বেশি দেশের দর্শক৷ বায়ার্নের নাক কাটার এরকম একটা সুযোগ গ্লাডবাখ সহজে হাতছাড়া করবে না৷ কাজেই গুয়ার্দিওলাকে দেখাতে হবে, তাঁর ‘সিস্টেম' অতি ত্যাঁদড় পরিস্থিতিতেও ঠিকমতো কাজ করে কিনা৷

এসি/এসবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য