1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদীয় দলের নেতা মোদী

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২১ মে ২০১৪

বিপুল ভোটে জয়ী হবার পর ২০শে মে ভারতীয় সংসদে নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির সংসদীয় নেতা নির্বাচিত হলেন৷ তারপর মোদী বিজেপি এবং শরিক দলের এক প্রতিনিধিদল সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন৷

https://p.dw.com/p/1C398
ছবি: Reuters

২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জনাদেশ নিয়ে নরেন্দ্র দামোদরভাই মোদী মঙ্গলবার ২০শে মে সংসদের সেন্ট্রাল হলে বিজেপি সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন সর্বসম্মতিক্রমে যা সমর্থন করে বিজেপি শরিক দলগুলি৷ মোদীর নাম প্রস্তাব করেন দলের বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি৷ তারপর বিজেপি এবং শরিক দলগুলির প্রতিনিধিসহ মোদী যান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যয়ের সঙ্গে দেখা করতে সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে৷ রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান কবে হবে তার দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি৷ তবে খুব সম্ভবত হবে ২৪ অথবা ২৬শে মে৷ চূড়ান্ত হয়নি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান কোথায় হবে৷ রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে নাকি রাষ্ট্রপতি ভবনের সন্মুখ প্রাঙ্গণে?

এর আগে সকালের দিকে সংসদের কেন্দ্রীয় হলে ভাবি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যে বার বার উঠে আসে আশার কথা৷ বলেন, ‘‘আমি চির জীবন আশাবাদী৷ তাই আমার কাজে থাকে ইতিবাচক দিশা৷ দেশের ১২৫ কোটি মানুষকে আশার আলো দেখাবে বিজেপি সরকার৷'' আবেগ মথিত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘‘সরকার কাজ করবে দেশের হয়ে, গরিবদের হয়ে, নবীন প্রজন্মের হয়ে, মা বোনেদের হয়ে৷ তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশা পূরণে চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না৷'' ভাষণের মাঝে আবেগে কণ্ঠরুদ্ধ মোদীর চোখে জল ভরে আসে৷ কেন? মোদী যেন আমাদের প্রতি কৃপা করেন আডবানির এই কথায়৷ অভিমান ভেজা গলায় মোদীর উত্তর, ‘‘কৃপা? কৃপা কেন? বিজেপি আমার মা৷ মায়ের কাজ করলে সেটা কৃপা নয়, সেটা সন্তানের কর্তব্য৷ দল আমার কাঁধে ১২৫ কোটি দেশবাসীর যে দায়িত্ব দিয়েছে তাতেই আমি ধন্য,'' বলেন মোদী৷ সেটা কতটা করতে পেরেছি তার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আবার জনাদেশ নিতে যাব ২০১৯ সালে৷ ঘন ঘন টেবিল চাপড়ে উপস্থিত সাংসদরা অভিনন্দন জানান মোদীকে৷ বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘আজকের দিনটি ভারতীয় রাজনীতির এক ঐতিহাসিক ক্ষণ৷''

বুদ্ধিজীবী সমাজ অবশ্য মনে করেন, বলা আর করার মধ্যে পার্থক্য আছে৷ তবে মোদী যে তুলনামূলকভাবে দক্ষ প্রশাসক সে বিষয়ে সন্দেহ নেই৷ তাই শপথ নেবার আগে থেকেই তিনি প্রশাসনিক মহলের শীর্ষ আমলাদের ডেকে একপ্রস্থ কথা বলে নিয়েছেন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আর্থিক প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং প্রশাসনিক ঘাটতি ইত্যাদি নিয়ে৷ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের তাঁদের বিভাগীয় কাজকর্মের কতটা অগ্রগতি হয়েছে, কোথায় কোথায় কাজ আটকে আছে, কেন আটকে আছে, তার সম্ভাব্য সমাধান কী, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে প্রেজেন্টেশন দেবার নির্দেশ জারি করা হয়েছে৷ তবে সবকিছু সুফল রাতারাতি হবার নয়৷ অনেক ইস্যু আছে যা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত৷ কোনো কোনো বিষয় আছে যার জন্য আইন সংশোধনের প্রশ্ন আছে৷ কিন্তু সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই৷

দেশের অর্থনীতিবিদদের মতে, উন্নয়নের স্লোগানকে বাস্তব করতে হলে মোদী সরকারকে প্রথমেই জোর দিতে হবে অবকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগ, ব্যবসা বাণিজ্য চালানো সহজ করতে লাল ফিতার ফাঁস আলগা করা, কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা গড়ে তোলা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে বছরে ১ কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, বেসরকারি ব্যয় যেখানে সম্ভব নয়, সেখানে সরকারি ব্যয় বাড়ানো ইত্যাদি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান