ডাচদের সহায়তা করবে রাশিয়া
২৫ জুলাই ২০১৪মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ল্যুডমিলা ভোরোবিয়েভা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, বিমান ধ্বংসের কারণ অনুসন্ধানে ইউক্রেনের চেয়ে নেদারল্যান্ডস-এর তদন্তের প্রতি আস্থা রাখছে তাঁর দেশ৷ তবে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রাশিয়ার তৈরি মিসাইল ব্যবহার করে এমএইচ১৭ বিধ্বস্ত করেছে বলে যে দাবি পশ্চিমা সরকারগুলো করছে, তা অস্বীকার করেছেন তিনি৷ ভোরোবিয়েভা বলেন, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নেই৷
প্রসঙ্গত, ১৭ জুলাই বিধ্বস্ত বিমানটিতে ১৯৩ ডাচ নাগরিক ছিলেন৷ আমাস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী বিমানটি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভুল করে বুক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বিমানটি ভূপাতিত করেছে৷ এই দাবির পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে অনেক রকম ছবি, ভিডিও এবং যুক্তি তুলে ধরেছেন৷ তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি, ইউক্রেন বিমানটি ভূপাতিত করেছে৷ এমএইচ১৭ বিমানে থাকা ২৯৮ যাত্রীর সবাই প্রাণ হারিয়েছেন৷
জাতিসংঘের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা আইসিএও-র নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত যে দেশে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় সে দেশের সরকারের সেটি তদন্ত করার কথা৷ কিন্তু ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ এখন রয়েছে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে৷ আর তারা ইউক্রেন সরকারকে তদন্ত করতে দেবে না বলে জানিয়েছে রাশিয়া৷
এদিকে সিডনির ডেইলি টেলিগ্রাফ এবং দ্য অস্ট্রেলিয়া পত্রিকা দাবি করেছে, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে চাচ্ছেন বিমান ধ্বংসের স্থানটির নিরাপত্তার দায়িত্ব ডাচ নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হোক৷ এই বাহিনীতে মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরাও থাকবেন৷
অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই বিষয়ে কিয়েভ প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানিয়েছে একাধিক বার্তাসংস্থা৷ ইতোমধ্যে বিমান ধ্বংসে নিহতদের মরদেহ নেদারল্যান্ডসে পাঠানো শুরু করেছে ইউক্রেন৷ বুধবার কমপক্ষে চল্লিশটি মরদেহ সে দেশে পৌঁছায়৷ তবে এখনো অনেক দেহাবশেষ ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে রয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এবং দেহাবশেষ অনুসন্ধানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যেতে চাইছে ডাচ নেতৃত্বাধীন বাহিনী৷
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় রাশিয়ার উপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ আরো বেড়েছে৷ ২০১৮ সলের বিশ্বকাপ সে দেশ থেকে সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারেও আলাপ-আলোচনা হচ্ছে জার্মানিতে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সে দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
এআই / এসবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)