ব্রাজিলে বিক্ষোভের আগুন
১৭ মে ২০১৪বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়ন, বাস চালক, শিক্ষক এমনকি পুলিশও ধর্মঘটে নেমেছে কোনো কোনো শহরে৷ এরই মাঝে ফুঁসে উঠেছে গত বছরের জুনে শুরু হওয়া গণবিক্ষোভ৷ তখনও বিপুল ব্যয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারকে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উদ্যোগী হবার দাবি জানাতে রাস্তায় নেমেছিল অজস্র মানুষ৷ বৃহস্পৃতিবারও দেখা গেছে সেই দৃশ্য৷
গ্লোবো নিউজের খবর অনুযায়ী, রাজধানী ব্রাসিলিয়া এবং সাও পাওলো, রিও ডি জানেরো, রেসিফেসহ অন্তত ১২টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে৷ বিক্ষোভকারীদের একাংশকে কোথাও কোথাও সুপারমার্কেটে লুটপাটও করতে দেখা গেছে৷ জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের দাবিতে ব্রাজিলের মোট ৫০টি শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে৷ বিশ্বকাপ শুরুর আগে সরকারকে আরো বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে পুলিশ সদস্যদের ধর্মঘট৷ বৃহস্পতিবারই অবশ্য ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ৷
দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশটিতে আগামী পাঁচ মাসে আরো অনেকবার রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের ঢল নামতে পারে৷ ১২ই জুন শুরু হয়ে ১৩ই জুলাই শেষ হবে বিশ্বকাপ৷ তারপর অক্টোবরে হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷
ব্রাজিলের বামপন্থি সরকারের সামনে তাই কঠিন সময়৷ বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ আয়োজনের সমালোচনাকারীদের কঠোর সমালোচনা করে শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রসিডেন্ট দিলমা রুসেফ৷ এ সময় তিনি দেশবাসীর প্রতি বিশ্বকাপের অতিথিদের স্বাগত জানাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷ রুসেফ বলেন, ‘‘আতিথেয়তা ব্রাজিলিয়ানদের আত্মার অংশ৷ আমরা যেন এ কথা ভুলে না যাই৷''
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)