বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন পাস
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭গত সোমবার সংসদে ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭' পাসের প্রস্তাব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি৷ এরপর কণ্ঠভোটে কার্যত কোনো বাধা ছাড়াই আইনটি পাস হয়ে যায়৷ এতে বিশেষ প্রেক্ষাপটে বিয়ের বয়সসীমা শিথিলের সুযোগ রয়েছে৷ ‘‘তবে বিশেষ প্রেক্ষাপট কী এবং কত কম বয়সে বিয়ে করা যাবে, তা আইনে স্পষ্ট করা হয়নি৷ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর বলা হয়েছিল, এগুলো আদালত নির্ধারণ করবে'', বলে বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে৷
জার্মানি প্রবাসী ব্লগার অর্ণব গোস্বামী এ বিষয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘বাল্যবিবাহ আইনের বিরোধীতা করা সংস্থাগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রকৃত পরিস্থিতি নিয়ে তাদের কোনো ধারণাই নেই৷' কথাটা সত্য৷ ঐ সংগঠনগুলোর চাইতে ‘প্রকৃত' পরিস্থিতির ব্যাপারে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আসলেই অনেক বেশি ধারণা আছে৷ কারণ, বিয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর মায়ের বয়স ছিল ১২ বছর৷ তো বাল্য বিবাহের ব্যাপারে শেখ হাসিনার আইডিয়া থাকবে না তো কি আমার থাকবে?''
লন্ডনপ্রবাসী আরেক ব্লগার শান্তনু আবিদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘জাতির পিতা বাল্যবিবাহ করেছিলেন তাই তাহার কন্যা জাতির আপু ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে' বাল্যবিবাহকে লিগালাইজ করে ফেললেন, না হলে জাতির পিতাকে যে লোকে খারাপ বলবে৷'' আর সাংবাদিক হারুন উর রশীদ লিখেছেন, ‘‘বাল্যবিবাহ আইন, না বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন? আমি ঠিক মনে করতে পারছি না৷ কেউ কি জানাবেন?''
প্রসঙ্গত, ইউনিসেফ-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি৷ বয়স ১৮ পর হওয়ার আগেই দেশটির ৬৬ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় বলেও বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে৷ নতুন পাস হওয়া আইনে অবশ্য মেয়ে ও ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম স্বাভাবিক বয়স আগের মতো ১৮ ও ২১ বছরই রাখা হয়েছে৷ তবে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপট' নিয়ে চলছে বিতর্ক৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ
এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার আছে? জানান আপনার মন্তব্য, লিখুন নীচের ঘরে৷