1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট চুক্তি

১২ অক্টোবর ২০১৮

একেবারে শেষ মুহূর্তে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত চুক্তি সম্ভব হতে চলেছে বলে বিভিন্ন মহল দাবি করছে৷ সোমবারই চূড়ান্ত বোঝাপড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে কিছু মহল৷

https://p.dw.com/p/36PcY
ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আশাবাদী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: Getty Images/AFP/P. Ellis

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার প্রধান সদস্যদের জানিয়েছেন যে, ঐতিহাসিক ব্রেক্সিট চুক্তি হাতের নাগালে এসে গেছে৷ ফিনানশিয়াল টাইমস পত্রিকা এই খবর প্রকাশ করেছে৷ সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত নিয়েও বোঝাপড়া প্রায় শেষ পর্যায়ে৷ তবে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর টোরি দলের কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি সদস্যরা মোটেই খুশি নন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ কমপক্ষে দু'জন নেতা পদত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে৷

ব্রেক্সিট চুক্তি সম্ভব হলে তার পক্ষে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভা ও দলের সমর্থন আদায় করতে পারলেও সংসদে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রধানমন্ত্রীকে বেগ পেতে হবে, এমন সম্ভাবনা বাড়ছে৷ বিশেষ করে সরকারের সহযোগী উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি প্রস্তাবিত বোঝাপড়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিচ্ছে৷ এমনকি সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার হুমকিও দিচ্ছে ডিইউপি৷ তারা উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটিশ ভূখণ্ডের মধ্যে সীমান্তে কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ মানতে নারাজ৷ ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মধ্যে কোনো রকম ভাঙন তারা বরদাস্ত করবে না বলে জানিয়েছে৷

আগামী ১৮ই অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনের আগেই ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষ৷ সোমবারই সেই বোঝাপড়া হবে বলে তাঁরা আশা করছেন৷ সে ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডমিনিক রাব ব্রাসেলস সফর করবেন৷ তবে সব মতপার্থক্য কাটিয়ে কীভাবে সেটা সম্ভব হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকার আরো প্রস্তাব পেশ করবে বলে জানিয়েছে৷ তবে ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র স্বীকার করেছেন যে, এখনো ব্রেক্সিট প্রশ্নে কোনো রফা হয়নি৷

ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা কার্যকর করার পথে অনেক বাধা রয়েছে৷ আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ইইউ-র সব সদস্য দেশকে তা অনুমোদন করতে হবে৷ তবে সবচেয়ে বড় বাধা আসতে পারে খোদ ব্রিটিশ সংসদ থেকে৷ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এই প্রশ্নে নিজের দলের মধ্যেই কোণঠাসা রয়েছেন৷ টোরি দলের ‘বিদ্রোহী' ও ডিইউপি দলের সংসদ সদস্যরা ব্রেক্সিট চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিলে মে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন না৷ বিরোধী লেবার দলও তাঁকে সমর্থন করার কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না৷

এই অবস্থায় নতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে৷ তখন ইইউ-র সঙ্গে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকর হবার সম্ভাবনা রয়েছে৷ দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে সরব হয়েছে অনেক মহল৷ তবে তেমন গণভোট হলেও তাতে জনগণের কাছে ঠিক কী প্রশ্ন রাখা হবে, তা নিয়েও দ্বন্দ্ব রয়েছে৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ার গণভোটের মাধ্যমে গোটা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া থামানোরও আশা প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর মতে, ইইউ-র মধ্যে থেকে যাওয়াই ব্রিটেনের পক্ষে সবচেয়ে কল্যাণকর হবে৷ ইইউ ব্রিটিশ অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জটিলতার পরিণাম মেনে নেবে কিনা, তা-ও স্পষ্ট নয়৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)