কীভাবে অনুসরণীয় হতে হয় দেখালেন মাশরাফি
১০ নভেম্বর ২০১৭সম্প্রতি বিপিএল এর মাঠে ক্রিকেটার শুভাশিস ও মাশরাফির একটি অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুভাশিষের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷
ঘটনা বুধবারের৷ মুখোমুখি রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং ভাইকিংস৷ প্রথমে ব্যাট করে রংপুরকে ১৬৭ রানের টার্গেট দেয় চিটাগং৷ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা রংপুর ততক্ষণে সাত উইকেট হারিয়ে বসেছে৷ উইকেটে তখন মাশরাফি ও সোহাগ গাজী৷ ম্যাচের ১৭তম ওভার করতে এসে নিজের করা একটি বল কুড়িয়ে মাশরাফির দিকে ছুড়ে মারতে গেলেন পেসার শুভাশিস৷ জবাবে মাশরাফি হাত দিয়ে ইশারা করে বলতে চাইলেন, ‘যা, গিয়ে বল কর'৷ আর এতেই ক্ষেপে যান শুভাশিস৷ তেড়ে যান মাশরাফির দিকে৷ অবস্থা দেখে সতীর্থরা ছুটে যান শুভাশিসকে থামাতে৷ কিন্তু শান্ত করা যাচ্ছিল না তাকে৷ পরে শুভাশিসকে উইকেট থেকে সরিয়ে নেন লেগ স্পিনার তানবীর হায়দার৷
ম্যাচে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছিল চিটাগং ভাইকিংস৷ কিন্তু ম্যাচ শেষেও মাঠের ঐ অপ্রীতিকর ঘটনার রেশ রয়ে যায়৷ শুভাশিষের বিরুদ্ধে যে তাঁর ভক্তরা মারমুখী হয়ে উঠবেন এটা ঠিকই আঁচ করতে পেরেছিলেন মাশরাফি৷ আর তাই হয়ত ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও বিষয়টি টেনে আনেন তিনি৷ বলেন, ‘‘ওটা সিরিয়াস কিছু নয়৷ সিরিয়াস সময়ে এ রকম কিছু হয়, হতে পারে৷ এটা সে রকম কিছু নয়৷'' বললেন, ‘‘আমি মনে করি, তাকে আমারই সরি বলা উচিত৷ যেহেতু সে আমার ছোট, আমার আরেকটু মাথা ঠান্ডা রাখলে ভালো হতো৷ আমি জানি না, ওর কী করা উচিত ছিল৷ কিন্তু সিনিয়র হিসেবে আমার আরেকটু শান্ত থাকলে ভালো হতো৷''
কিন্তু এই সংবাদ সম্মেলনের পরও কিন্তু থেমে থাকেননি ম্যাশ ভক্তরা৷ যে ব্যক্তিকে তারা ‘গুরুর' আসনে বসিয়েছেন, সেই গুরুর কথার সম্মান রাখেননি, তাঁর মহত্ত্বটা চোখে পড়েনি ভক্তদের৷ তাই যথারীতি শুভাশিসকে গালিগালাজ করা অব্যাহত রেখেছেন, সেই সাথে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছেন তারা৷
আর মাশরাফিও ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলেন বলেই সংবাদ সম্মেলনের পরে এক ফেসবুক ভিডিওতেও আবার সেই প্রসঙ্গ নিয়ে নিজের ঘাড়েই তুলে নিয়েছেন দায়৷ তবে এরপর শুভাশিসও এগিয়ে এসেছিলেন৷ তিনিও এক লাইভে পালটা দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাশরাফির কাছে৷
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে৷ তিনটি ভিডিওই ক্রমাগত দেখা হচ্ছে, শেয়ার হচ্ছে৷
এই ঘটনা নিয়ে আপনার কোনো মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷