1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভবিষ্যতে কৃষিকাজের চরিত্র বদলে যেতে পারে

৩০ এপ্রিল ২০১৯

ভবিষ্যতে কৃষিকাজের চরিত্র ও উৎপাদনশীলতা সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলে পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে৷ কম পানির ব্যবহার, শিল্পক্ষেত্রের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল উৎপাদন থেকে শুরু করে অনেক রূপান্তরের তোড়জোড় চলছে৷

https://p.dw.com/p/3Hfwr
Essbare Stadt Andernach
ছবি: DW/S. Pabst

পানির ব্যবহার কমিয়েও কৃষিখামারে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হলে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা অত্যন্ত জরুরি৷ ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় মাটি থেকে নিষ্কাশিত ৮০ শতাংশ পানি সেচের কাজে ব্যবহার করা হবে, যা বিশ্বজুড়ে পানির সংকটে ইন্ধন জোগাবে৷ কৃষি অর্থনীতিবিদ আদ্রিয়ানো বাটিলানি বলেন, ‘‘ এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের সব রকম তথ্য দেই, যা দিয়ে অত্যন্ত নিখুঁত এক পানি ব্যবস্থাপনা প্রণালী সৃষ্টি করা সম্ভব৷ অত্যন্ত নিখুঁত প্রণালীর অর্থ, তার মাধ্যমে পানির ব্যবস্থাপনা, সেচ, পানি ও সারের ব্যবহার – অর্থাৎ গোটা কৃষি প্রক্রিয়ায় আরও উন্নতি হবে৷''

একটি প্রণালীর মাধ্যমে যে কোনো খেত বা ফসলের জটিল প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করাই হলো আসল চ্যালেঞ্জ৷ কৃষকরা এমন সুযোগ পেলে ঠিক সময়ে উচিত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন৷ কৃষি অর্থনীতিবিদ দোমেনিকো সোলিমান্দো বলেন, ‘‘একটি সেন্সর অনেকটা সময় জুড়ে পরিমাপ করে৷ মাটির নীচে ঠিক কত পরিমাণ পানি রয়েছে, তা জানা অত্যন্ত জরুরি৷ তার সাহায্যে ঠিক কোন মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করা উচিত, তা জানা যায়৷ বোঝা যায়, ঠিক কত পরিমাণ পানি ব্যবহার করতে হবে৷''

খেতে নিখুঁতভাবে সেচ করতে হলে বৈজ্ঞানিকদের দলকে ল্যাবে ফিরে যেতে হবে৷ সেখানে তাঁরা মাটির আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ প্রণালী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন৷ কৃষি অর্থনীতিবিদ জোয়েলে কিয়ারি বলেন, ‘‘মাটির নমুনার মধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি বিষয় পরীক্ষা করি৷ প্রথমে আমরা মাটির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি আর্দ্রতা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করি৷ তারপর অন্য নুমনা থেকে মাটির মধ্যে বাকি পদার্থ বিশ্লেষণ করি৷''

যে জমিতে পরীক্ষা চালানো হয়, তার উপর পাইপের এক নেটওয়ার্ক বসানো রয়েছে৷ গাছের শিকড়ের কাছে নলের মধ্যে ছোট ছিদ্র রয়েছে৷ ফসলে মাত্রাতিরিক্ত পানি ঢালার ঝুঁকি এড়াতে পাইপের প্রত্যেকটি সেট আলাদা করে পানির পরিমাণ স্থির করতে পারে৷

গোটা প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম৷ মাটির উপর সেন্সরের নেটওয়ার্ক এবং আবহাওয়া স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য সেখানে বিশ্লেষণ করে আদর্শ পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়৷ এর মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রেনতুন এক প্রবণতা দেখা দিতে পারে৷ খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বায়োমাস বা জৈববস্তু উৎপাদনও গুরুত্ব পেতে পারে৷ আদ্রিয়ানো বাটিলানি বলেন, ‘‘বায়োমাস কৃষিক্ষেত্রকে শিল্পক্ষেত্রের জন্য গাছ থেকে নতুন রাসায়নিক সৃষ্টির সুযোগ করে দেবে৷ ফলে তেলের মতো জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির প্রয়োজন কমে যাবে৷

কয়েক বছরের মধ্যে উৎপাদন প্রক্রিয়ায়  টমেটো গৌণ স্থান পাবে৷ নতুন বায়োমাস রাসায়নিক শাকসবজির তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক হবে৷ অর্থাৎ কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ হয়ে যাবে৷ একদিকে আমরা কিটোন বা ফাইটোকেমিকাল নিষ্কাশন করতে পারবো, যা জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে৷ অন্যদিকে এমন ফল উৎপাদিত হবে, যা আমরা খেতে পারি৷'' 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান