ভারতের রাজনীতি
১৬ নভেম্বর ২০১২আগামী ২২শে নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন৷ তার আগে কংগ্রেস-জোট সরকারের সব শরিক দলের নেতানেত্রীদের শুক্রবার নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷ খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ভরতুকি দেয়া রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের সংখ্যা কমানো, দুর্নীতি, টু-জি স্পেকট্রাম নিলামসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিরোধীপক্ষের আক্রমণ এবং ভোটাভুটিসহ তৃণমূলের অনাস্থা প্রস্তাবের কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তার রণকৌশল স্থির করতেই এই ‘ডিনার ডিপ্লোম্যাসি', মনে করছেন দিল্লির রাজনৈতিক মহল৷
সরকারকে নাজেহাল করতে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস, বামদল৷ বিজেপি নেতাদের কথায়, বিজেপি সংসদের ভেতরে-বাইরে কংগ্রেসকে রেহাই দেবেনা৷ এই সরকার যত তাড়াতাড়ি যায় ততই মঙ্গল৷ সিপিএম নেতার কথায় এফ ডিআই নিয়ে তাঁরা সংসদে ভোটাভুটির দাবি জানাবে৷ তবে সংসদ অচল করার বিপক্ষে তাঁরা৷ সংযুক্ত জনতা দলের নেতা মনে করেন, খুচরো ব্যবসায় এফডিআই নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক, এই ইস্যুতে সরকার সংখ্যালঘু৷
আক্রমণাত্মক মেজাজে বিরোধীপক্ষের মোকাবিলা করতে শরিক দলগুলি যাতে বেঁকে না বসে, তার জন্য তাদের বোঝানোর রাস্তা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ কারণ বড় শরিক ডিএমকে দল কোন ইস্যুতে এখনো তার অবস্থান স্পষ্ট করেনি৷ সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির অবস্থানেও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে৷ ভোটাভুটির পরিস্থিতি তৈরি হলে তারা যাতে সরকারের পাশে থাকে, সেকথা বোঝাতে মুলায়ম সিং ও মায়াবতীকে আগেই আলাদা করে নৈশভোজে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷
তবে অধিকাংশ দল সংসদ অচল করার বিপক্ষে হলেও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরোধিতায় বেশি ঝড় উঠবে সংসদের এবারের অধিবেশনে৷
সরকারের নড়বড়ে অবস্থা দেখে মধ্যবর্তী নির্বাচনের একটা রব শোনা যাচ্ছে৷ তাতে জল ঢেলে কংগ্রেস মন্ত্রীনেতা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশের মানুষ ৫ বছরের জন্য সরকারকে ভোট দিয়েছে এবং সরকার তার মেয়াদ পুরো করবে৷ নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ ২০১৪ সালে৷