জার্মানিতে ‘ভুতুড়ে চালক’
২৪ আগস্ট ২০১৪হাইওয়েতে প্রায় রকেটের গতিতে গাড়ি চলছে, এমন সময় সামনে দেখা গেলো হেডলাইট৷ উলটো দিক থেকে ধেয়ে আসছে আরেকটি গাড়ি৷ মুখোমুখি সংঘর্ষ প্রায় অনিবার্য৷ কারণ সে ভুল লেনে ঢুকে পড়েছে৷ এমন দুঃস্বপ্ন অনেকের কাছেই বাস্তব৷ অন্তত জার্মানিতে৷ একে তো জার্মানি দুনিয়ার একমাত্র দেশ, যেখানে ‘আউটোবান' বা হাইওয়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশয় গতির কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই৷ সেখানে আইন না ভেঙেও ঘণ্টায় ১৯০ বা ২০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানো যেতে পারে৷ ফলে উলটো দিকে গাড়ি এলে তার পরিণাম যে কী হতে পারে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷
অথচ এমন ভুল বিরল ঘটনা নয়৷ চালকদের সতর্ক করতে সাইনবোর্ড থাকা সত্ত্বেও অনেকে ভুল করে বসেন৷ তারপর আরও ঘাবড়ে গিয়ে নতুন ভুল করতে থাকেন৷ প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে৷ না ঘটলেও গাড়ি চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে৷ পুলিশকে পরিস্থিতি সামলাতে হয়৷ এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে মূল্যবান কাজ করে স্থানীয় রেডিও স্টেশনগুলি৷ তারা অনুষ্ঠান থামিয়ে চালকদের সতর্ক করে দেয়৷ হাইওয়ের ঠিক কোন অংশে বিপদ হতে পারে, তাও জানিয়ে দেয়৷ বিপদ কেটে যাওয়ার পর ঘোষক চালকদের আবার আস্বস্তও করেন৷ তবে রেডিও বন্ধ থাকলে মুশকিল৷ বিদেশি চালক হলে আবার ভাষা না বোঝার সমস্যাও রয়েছে৷
এমন ভুল ও তার পরিণাম এড়াতে জার্মানিতে নতুন ধরনের সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ চলছে৷ উচ্চ প্রযুক্তির নানা রকম ইলেকট্রনিক সিস্টেম পরীক্ষামূলকভাবে কার্যকর করার পর দেশের পরিবহন মন্ত্রীকে একটি বেছে নিতে হবে৷
কোনো চালক ভুল করে হাইওয়ের ভুল লেনে ঢুকে পড়লে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া৷ সে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে প্রতিটি সেকেন্ড জরুরি হতে পারে৷ অনেক সময় চালক নিজেই নিজের ভুল বুঝতে সময় নিতে পারেন৷ সেটা আরও মারাত্মক৷ ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা তখন আলো ও শব্দের সমন্বয়ে সিগনাল দিতে পারবে৷ তার জন্য রাস্তার মধ্যে বিশেষ তার বসাতে হবে৷ ওয়ার্নিং লাইট-এরও ব্যবস্থা করতে হবে৷ এর জন্য প্রায় আড়াই কোটি ইউরো ব্যয় হবে বলে দাবি করছে জার্মানির এক অটোমোবাইল ক্লাব৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ)