মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনায় জাতিসংঘ
৭ জুন ২০১৮বুধবার দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলমান এই অভিযানে গত তিন সপ্তাহে প্রায় ১৩০ জন মারা গেছেন৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার জনকে৷ ‘‘অবৈধ মাদক পাচার ও বিক্রির কারণে ব্যক্তি পর্যায় ও সমাজে যে বিপুল ভোগান্তির সৃষ্টি হয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ কিন্তু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার এবং মাদক ব্যবহারের কারণে কাউকে কলঙ্কিত করা কোনো উত্তর হতে পারে না,’’ বলেন জায়েদ রা'দ আল-হুসেইন৷
মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান৷ বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার নিহতদের কেউ ‘নিরপরাধ’ ছিল না বলে নাগরিকদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছে৷ ‘‘এ ধরনের বিবৃতি বিপজ্জনক এবং আইনের শাসন অগ্রাহ্য করার সূচক,’’ বলে মনে করেন জায়েদ রা'দ আল-হুসেইন৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গ্রেপ্তার ও হত্যা শুরু হয়েছে ১৫ মে৷ তার একদিন আগেই জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হয়েছে৷ সেই সময় বাংলাদেশ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করার অঙ্গীকার করেছিল৷
জায়েদের সমালোচনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমরা কাউকে হত্যা করছি না৷ আমাদের বাহিনীগুলোর দিকে গুলি চালানোয় তারা গুলি চালাচ্ছে৷ আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে আমরা এই অভিযান চালিয়ে যাবো৷’’
এদিকে, জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেছেন, বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী মানবাধিকার প্রধান জায়েদকে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন৷ ‘‘আমরা সরকারকে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং তদন্ত যেন স্বাধীন, স্বচ্ছ ও অর্থবহ হয় সেটা নিশ্চিতের আহ্বান জানাই,’’ বলেন তিনি৷
এর আগে সোমবার কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে বিবৃতি দিয়েছিল ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনগুলো৷
এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে৷ গণভবনে আইনজীবীদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে তিনি এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি, বিডিনিউজ)