1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার

৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২

রাজধানী ঢাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত ২০ কি.মি. দীর্ঘ মানব বন্ধনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি উঠেছে৷ আর শুধু মাত্র চিহ্নিত কয়েকজন যুদ্ধাপরাধী নয়, সব যুদ্ধাপরাধীরই বিচারের দাবি জানান হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/13yXQ
ছবি: DW

মানব বন্ধনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সহ ১৪ দলের নেতারা বলেছেন, দেশের মানুষ আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে মাঠে নেমেছে৷ কোন ষড়যন্ত্রই তাদের রক্ষা করতে পাবেনা৷

মঙ্গলবার বিকেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলের মানব বন্ধন গাবতলী থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে৷ দীর্ঘ পথের দু'ধারে শ্যামলী, আসাদ গেট, কারওয়ান বাজার , শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিলসহ সব এলাকায় সাধারণ মানুষ, তরুণ, যুবা, বৃদ্ধ সবাই হাতে ব্যানার আর ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন৷ তাদের একটিই দাবি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে৷ আর তারা চান এই বিচার দ্রুত শেষ হোক৷ কোন যুদ্ধাপরাধী যেন বিচার থেকে রেহাই না পায়৷

12-km Menschenkette in Bangladesch
কয়েক জায়গায় প্রতীকী ভাবে যুদ্ধাপরাধীদের কুশ পুত্তলিকাও দাহ করা হয়ছবি: DW

মানব বন্ধনে অংশ নেয়া ১৪ দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ মনে করেন, যারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতা করেন তারা দেশের ক্ষতি করছেন৷

আওমী লীগসহ ১৪ দলের নেতারা ঘুরে ঘুরে মানববন্ধনে অংশ নেয়া মানুষদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন৷ কারওয়ান বাজার এলাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন কথা বলেন ডয়চে ভেলের সঙ্গে৷ তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের এই দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলেই যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছে৷

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এই মানব বন্ধন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র পাল্টা কর্মসূচি কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি তা নাকোচ করে দেন৷ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, তাই জনগণের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে৷

মানব বন্ধনে দেখা গেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে নানা ধরনের প্লাকার্ড আর ব্যঙ্গ চিত্র৷ ছিল প্রতীকী ফাঁসির চিত্র৷ কয়েক জায়গায় প্রতীকী ভাবে যুদ্ধাপরাধীদের কুশ পুত্তলিকাও দাহ করা হয়৷ হাজার হাজার মানুষ হাতে হাত রেখে তাদের ঘৃণা প্রকাশ করেন যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য