মুদ্রাপাচারের অভিযোগে কোকোর ছয় বছরের জেল
২৩ জুন ২০১১এছাড়া ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তারের পর খালেদা জিয়া ও তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে ডজনখানেক মামলা হলেও রায় এটাই প্রথম৷
উল্লেখ্য, জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মা খালেদার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন কোকো৷ এরপর ২০০৮ সালের মে মাসে সরকারের নির্বাহী আদেশে ছাড়া পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান তিনি৷ এখনো তিনি সেখানেই রয়েছেন৷
তাই কোকোর অনুপস্থিতিতেই কিছুক্ষণ আগে তাঁকে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মোজাম্মেল হোসেন৷
২০০৯ সালের ১৭ মার্চ বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে কোকোর বিরুদ্ধে এই মামলাটি হয়েছিল৷
বিএনপি আগে থেকেই বলে আসছে, ‘সাজানো' রায় দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করা হচ্ছে৷ কয়েকমাস আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুদ্রাপাচার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর তাগিদ দেওয়াকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে প্রধান বিরোধী দল৷
রায় প্রত্যাখ্যান করে সঙ্গে সঙ্গেই বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা পুরান ঢাকার আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ করে৷ রায়ের আগেই আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয় তারা৷ অন্যদিকে মিছিল বের করে সরকার সমর্থক আইনজীবীরাও৷
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কোকো অবৈধ উপায়ে অর্জিত ৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৭২ মার্কিন ডলার এবং ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬০৪ সিঙ্গাপুরি ডলার সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন৷
কোকোর বিরুদ্ধে আরো চারটি মামলা রয়েছে৷ আর তাঁর বড় ভাই লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা এক ডজনেরও বেশি৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম