1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোদী-কেজরিওয়ালের লড়াই

রাজীব চক্রবর্তী নতুন দিল্লি
১৩ এপ্রিল ২০১৭

সাম্প্রতিক সব নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পরও দিল্লিতে শান্তি নেই বিজেপির৷ প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেই চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ কিছু আক্রমণের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, বিনা যুদ্ধে ‘‌সূচাগ্র মেদিনী'‌ ছাড়তে নারাজ তিনি৷

https://p.dw.com/p/2bAWx
মোদী বনাম কেজরিওয়াল
ছবি: picture-alliance/dpa

সেই ২০১০-‌১১ সালে ‘‌ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন'‌-এর মাধ্যমে ভারত থেকে দূর্নীতি দূর করার আন্দোলনে নেমেছিলেন প্রবীন সমাজসেবী আন্না হাজারে৷ তখনও দেশের কোথাও আম আদমি পার্টি (আপ)-এর চিহ্ন মাত্র ছিল না৷ ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর ঝাড়ু প্রতীক নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ‘আপ'৷ দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ‘‌ইন্ডি্য়ান রেভিনিউ সার্ভিসেস'‌-‌এর প্রাক্তন আধিকারিক অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ তাঁর হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে লড়াইয়ে নেমে পড়ে দল৷ বলা যায়, রাতারাতি সাফল্য হাতের মুঠোয় চলে আসে কেজরিওয়ালের৷ ২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবার ভারতের রাজধানী দিল্লির শাসনভার চলে আসে ‘আপ'-‌এর হাতে৷ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন অবশ্যই অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ সেবার ৭০ আসনের মধ্যে ২৮টি আসন পেয়েছিল আপ৷ কিন্তু সে যাত্রায় শাসনভার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি৷ দলের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘‌জন লোকপাল বিল'‌-‌এ অন্যান্য দল সমর্থন না দেওয়ায় মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কেজরিওয়াল৷ তারপর যা ঘটেছে তা নজিরবিহীন৷ ২০১৫ সালে আবার নির্বাচন হয়৷ এবার দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের মধ্যে ৬৭টি দখল করে নেয় ‘আপ'৷ তারপরের ঘটনা সবার জানা৷ গল্পের মতো৷

কারণে-‌অকারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন কেজরিওয়াল৷ ‘‌অন্যরকম রাজনীতি'‌ করেন৷ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সময় আগু-‌পিছু ভেবে দেখেন না৷ যার ফলে, তিনি যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাঁর তাৎক্ষণিক ‘‌সর্বনাশ'‌ হয়েই যায়৷ সত্য-‌মিথ্যা প্রমান তো আদালতের বিষয়৷

এমনই একাধিক মামলা ঝুলছে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে৷ দু'দিন আগেই আদালতে গরহাজিরার কারণে জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি হয়েছে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবমাননা মামলায় অসমের আদালত কেজরিওয়াল ও তাঁর দল আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দিয়েছে৷ গত সোমবার একটি আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের৷ গত বছর তাঁর একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি৷

সেই টুইটের প্রেক্ষিতেই অসমে মামলা হয়েছিল৷ বছরখানেক আগে ‘‌দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন'‌-‌এ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কেজরিওয়াল৷ প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ৷ ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা ঠুকেছেন জেটলি৷ সেই মামলা লড়তে দেশের এক নম্বর আইনজীবী রাম জেঠমালানিকে নিযুক্ত করেছেন কেজরিওয়াল৷ বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ ব্যয় করেছেন কেজরিওয়াল৷ প্রশ্ন উঠেছে, ব্যক্তিগত মামলায় জনগণের করের টাকা খরচ কেন?‌

২০১৫ তে দিল্লি দখলের পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দলের নেতারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন আরও কয়েকটি রাজ্যে নিজেদের পসার জমানোর৷ সেই লক্ষ্যে পাঞ্জাব ও গোয়ায় পাড়ি দেন তাঁরা৷ প্রায় বছর খানেক ধরে প্রস্তুতি নিয়ে দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেয় আপ৷ সংবাদমাধ্যমে এমন প্রচার হতে শুরু করে, পাঞ্জাব ও গোয়ায় বিজেপি ও তাদের শরিক দল শিরোমণি আকালি দলকে সরিয়ে আপ সরকারের ক্ষমতায় আসা প্রায় নিশ্চিত৷

অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, এই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিল দল৷ কিন্তু, গত ১১ মার্চ ফলাফল সামনে আসার পর যা দেখা গেল, বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদী ঝড়ে উড়ে গেছে ‘আপ'৷

এরপর দলের অভ্যন্তরে পর্যালোচনা চললেও তা বেশি দূর এগোয়নি৷ দলের সাংগঠনির ব্যর্থতার পরিবর্তে কেজরিওয়াল জোর দিচ্ছেন ইভিএম বা ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে কারচুপির অভিযোগের ওপর৷ এক্ষেত্রে তাঁর অভিযোগের তির নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির দিকে৷ অন্য পাঁচটা বিরোধী দলের থেকে অনেকটা এগিয়ে সরাসরি ‌জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি৷ কমিশনের পক্ষ থেকে কেজরিওয়ালের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘‌ইভিএমে নয়, সমস্যা থাকতে পারে আপনার সংগঠনে৷ আত্মসমালোচনা করুন৷ প্রয়োজনে ইভিএম সম্পর্কিত যে কোনও চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে পারে কমিশন৷' তবে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ দেশজুড়ে বেশ দানা বেঁধেছে৷ বিরোধী দলগুলো এককাট্টা হয়ে নির্বাচন কমিশন এবং রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির দ্বারস্থ হয়েছেন৷ বুধবার কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজপার্টি,  সিপিএম, সিপিআই, জেডি (‌ইউ)‌, আরজেডি, ডিএমকে‌সহ মোট ১৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ইভিএম কারচুপির নালিশ জানিয়েছেন৷ এই প্রতিনিধি দলটিকে খাটো করে দেখার কোনও উপায় নেই৷ নেতৃত্বে ছিলেন খোদ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, সহসভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷

‌সে যা-ই হোক৷ এখন কেজরিওয়াল বনাম নরেন্দ্র মোদীর সরাসরি লড়াই শুরু হয়েছে দিল্লিতে৷ দিল্লিতে ‌পুরভোটের দেরি নেই৷ ২৩ এপ্রিল ভোট৷ কেন্দ্রসহ কয়েকটি বড় রাজ্য এখন বিজেপির করায়ত্ত হলেও রাজধানী দিল্লিতে সর্বদা ভিন্নমত, ভিন্ন সুর মোটেই মেনে নিতে পারছেন না মোদী৷ তাই এবার পাঞ্জাব ও গোয়ার মতোই ‘আপ'-‌কে দিল্লি থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় নেমেছে বিজেপি৷ বর্তমানে দিল্লির পুরসভাগুলি বিজেপির দখলে৷ অন্যদিকে, বিজেপির হাতে থাকা পুরসভাগুলি দখল করতে মরিয়া কেজরিওয়াল এখন ‘কল্পতরু' হয়েছেন৷ দিল্লিবাসীর জন্য একের পর এক উপহার ঘোষণা করছেন তিনি৷ শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পরিবহণের ক্ষেত্রে থাকছে জনমোহিনী নানা উদ্যোগ৷

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর রাজধানীর বাসিন্দাদের খুশি করতে যে সব উপহার দিচ্ছেন, তার মধ্যে রয়েছে সরকারি বাসে ছাত্রছাত্রী ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিনা মূল্যে ভ্রমণ, অস্থায়ী স্কুলশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, সরকারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিত্‍সা না করানো গেলে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্‍সার ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন উদ্যোগ৷ যাঁদের আয় মাসে কুড়ি হাজার টাকা বা তার কম, তাঁরাও সরকারি বাসে বিনা মূল্যে যাতায়াত করতে পারবেন৷ মহিলারা সারা মাস বাসে চড়তে পারবেন মাত্র আড়াইশ' টাকায়৷ এ ছাড়া সরকারি স্কুলে অস্থায়ী শিক্ষকদের বেতন বাডি়য়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে৷ এতদিন তাঁরা মাসে ১৬ হাজার টাকা পেতেন, এখন পাবেন ৩২ হাজার টাকা৷

স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটানোর জন্যও সচেষ্ট হয়েছে দিল্লি সরকার৷ কোনও রোগীকে যদি সরকারি হাসপাতালে মাস দুয়েকের মধ্যে চিকিত্‍সা করানো না যায়, তা হলে নির্দিষ্ট কিছু বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিত্‍সার ব্যবস্থা করা হবে এবং সেই চিকিত্‍সার খরচ বহন করবে সরকার৷ দিল্লির সরকারি হাসপাতালগুলিতে যাবতীয় পরীক্ষা বিনা মূল্যে হবে৷ তার মধ্যে থাকছে সিটি স্ক্যানের মতো কিছু পরীক্ষাও, এমনিতে যার খরচ যথেষ্ট বেশি৷

হঠাত্‍ করে কেজরিওয়াল যে এমন দানছত্র খুলে বসেছেন, তার কারণ, দিল্লির পুরনির্বাচন৷ আর সেই নির্বাচনে দিল্লির পুরসভাগুলি বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়াই লক্ষ্য ‘আপ' প্রধানের৷ কিছু হাসপাতাল এবং সরকারি স্কুল, বাস ও জল সরবরাহের মতো অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রই দিল্লি সরকারের এক্তিয়ারে রয়েছে৷ তাই সেই সব ক্ষেত্রেই যতটা সম্ভব কম খরচে, বা একেবারে বিনা মূল্যে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন কেজরিওয়াল৷

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর একটা ১৪ মিনিটের ভাষণের ভিডিও ক্যাসেটও প্রকাশ করেছে ‘আপ'৷ কেজরিওয়াল সেখানে বলছেন, ‘‌‘‌দিল্লিকে পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ করতে গেলে ‘আপ'-কেই ভোট দিতে হবে৷'‌'‌ দিল্লিতে পুরসভা একেবারে দুর্নীতিমুক্ত, এমন দাবি করা মুশকিল৷ তার ওপর পুরসভার কাজ নিয়ে লোকের প্রচুর অভিযোগ রয়েছে৷ এই অবস্থায় কেজরিওয়াল বলছেন, ‘আপ' যদি পুরসভায় আসতে পারে, তা হলে পরিচ্ছন্ন দিল্লি ও দুর্নীতিমুক্ত পুরসভা উপহার দেবে৷

‘আপ' প্রধানের অভিযোগ, যাঁরা কিছুদিন আগে পর্যন্ত সাইকেল বা স্কুটারে যাতায়াত করতেন, তাঁরাই আজ পুরসভায় জিতে এসে বাড়ি-গাড়ি হাঁকাচ্ছেন৷ পুরসভায় দুর্নীতির একটা উদাহরণও দিয়েছেন তিনি৷ রানি ঝাঁসি উড়ালপুল, যা বানাতে খরচ ধরা হয়েছিল ১৭৭ কোটি টাকা৷ এখনও পর্যন্ত ৭২৪ কোটি খরচ হয়ে গিয়েছে, তবু কাজ শেষ হয়নি৷ অন্য দিকে দিল্লি সরকার গত দু'বছরে পাঁচটি উড়ালপুল নির্দিষ্ট খরচে এবং নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ করে দিয়েছে৷ এভাবেই যে অস্ত্রে নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের ঘায়েল করেন, সেই অস্ত্র প্রয়োগ করেই কেজরিওয়াল দিল্লিতে বিজেপি-বধ করতে চাইছেন৷ দিল্লিকে লন্ডন বানাব! ‘মমতামুখি' কেজরি-ঘোষণায় বেজায় সোশ্যাল খিল্লি শুরু হয়েছে৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধাঁচেই দিল্লিকে লন্ডন বানানোর ঘোষণা করার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছেন কেজরিওয়াল৷ নেটিজেনদের একের পর এক ‘ট্রল' আক্রমণের নিশানা হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী৷ পূর্ব প্রতিশ্রুতি ও ঘোষণার সঙ্গে তুলনা করে কেজরিওয়ালকে নিয়ে রীতিমতো খোরাক শুরু হয়েছে টুইটার, ফেসবুকে৷

১৯৫২ সালের ডিসেম্বর মাস৷ ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল গোটা লন্ডন শহর৷ মৃত্যু হয়েছিল হাজারের বেশি মানুষের৷ দিল্লির ক্ষেত্রে অবশ্য আলাদা করে সাল জানানোর প্রয়োজন হয় না৷ প্রায় প্রতি বছরই দূষণের নিরিখে দেশের শীর্ষ শহরের তকমা জোটে রাজধানীর কপালে৷ এছাড়াও থাকে আইন-শৃঙ্খলাজনিত অভিযোগ৷ নির্ভয়া কাণ্ডের জেরে নারী নিরাপত্তায় এক সময়ে তলানিতে ঠেকেছিল দিল্লির নাম৷ এহেন দিল্লিকেই এবার লন্ডন বানানোর ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷

ভারতীয় রাজনীতিতে ‘আপ'-‌প্রধান তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত৷ দুই নেতা-নেত্রীর সৎ রাজনৈতিক চরিত্রের জন্য খ্যাতি রয়েছে৷ এমনকি একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও দু'জনের মধ্যে মিল লক্ষ্য করা গেছে৷ সম্প্রতি, বেসরকারি হাসপাতালের বিলের নিয়ন্ত্রণ নিতে আইন পাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘটনাচক্রে, একই সময়ে দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে আরও ‘মানবিক' হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতেও ব্যবসায়ীকরণের বিরোধিতা করবেন বলে জানা গেছে৷ কয়েক মাস আগেই দিল্লিতে বেসরকারি স্কুলে গরিব পড়ুয়াদের আসন সংরক্ষণকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার৷

বন্ধুরা, কে জিতবে এই লড়াইয়ে? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান