‘যারা হুজি, তারাই জেএমবি বা আইএস'
১২ অক্টোবর ২০১৫ঢাকার গুলশানে ২৮শে সেপ্টেম্বর ইটালির নাগরিক সিজার তাবেলা এবং ৩রা অক্টোবর রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে হত্যা করা হয়৷ ঐ দু'টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স' গ্রুপের বরাত দিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর দায় স্বীকারের খবর পরিবেশন করে৷
নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বলেন, ‘‘দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইএস-এর জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাননি বাংলাদেশের তদন্ত কর্মকর্তারা৷'' তিনি বলেন, ‘‘সাউথ এশিয়ান টেররিজম পোর্টালের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশে ৪০৪ জন নিহত হন৷ সে তুলনায় চলতি বছরে মাত্র ৩৭ জন নিহত হয়েছেন৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে কাজ কওে যাচ্ছেন৷ তিনি জাতিসংঘসহ বিশ্ব সভায় তাঁর সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানকে স্পষ্ট করেছেন৷''
এদিকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও সোমবার ঢাকায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন সঠিক তথ্যই উপস্থাপন করেছেন৷''
তাঁর কথায়, ‘‘কিছু বিদেশি নাগরিক এখানে আইএস-এর সদস্য সংগ্রহ করতে এসেছিল৷ তারা ধরা পড়েছে৷ এছাড়া বাংলাদেশে আইএস-এর কোনো অস্তিত্বও নেই৷''
তিনি দাবি করেন, ‘‘দুই বিদেশি হত্যার দায় স্বীকার করে আইএস-এর যে দু'টি টুইটার বার্তার কথা বলা হয়েছে, তা বাংলাদেশ থেকেই করা হয়েছে বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি৷ এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে৷''
ডয়চে ভেলের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যারা হুজি, তারাই জেএমবি বা আইএস৷ তারা একেক সময় একেক নামে কাজ করে৷ তাদের দমনে সরকার কাজ করছে৷ সরকার জঙ্গিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেবে না৷''
প্রসঙ্গত, ঐ দুই বিদেশি হত্যার পর পাবনার ঈশ্বরদীকে এক ধর্ম যাজককে হত্যার চেষ্টা করা হয়৷ সেই ঘটনায় সোমবার পাঁচজন জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ পাবনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়৷
বন্ধুরা, বাংলাদেশে কি আইএস আছে? আপনার কী মত? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷