যুক্তরাষ্ট্রে সিনাগগে গুলি, নিহত এক
২৮ এপ্রিল ২০১৯কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্যান ডিয়েগোর বাইরে শনিবারের এই হামলায় নিহত হন এক নারী৷ এছাড়া একজন রাব্বি (ধর্মীয় শিক্ষক)-সহ এক কিশোরী ও দু'জন পুরুষ আহত হয়েছেন৷
পালোমার হেলথ মেডিকেল হসপিটালের মুখপাত্র ডেরিল আকোস্টা সাংবাদিকদের জানান যে, দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে আহত অবস্থায় চারজনকে ভর্তি করা হয়েছিল সেখানে৷
স্যান ডিয়েগো কাউন্টি শৈরিফ উইলিয়াম গোরে সংবাদ সম্মেলনে জানান, হামলাকারী একজন ‘সাদা' যুবক এবং একটি এআর ধরনের অ্যাসল্ট অস্ত্র ব্যবহার করেন৷
১৯ বছর বয়সি এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে৷
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মূলত ইহুদিবিদ্বেষ থেকেই হামলা চালানো হয়েছে৷ তবে গোরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি৷ শুধু এটুকুই বলেছেন যে, সামাজিক গণমাধ্যমে ঐ যুবক একটি ইহুদি বিদ্বেষমূলক খোলা চিঠি প্রকাশ করেছিলেন৷
যে চিঠিটি তিনি প্রকাশ করেছিলেন সেই চিঠিতে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা ও যুক্তরাষ্ট্রের পিটবুর্গের ট্রি অফ লাইফ সিনাগগে হামলার ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়েছে৷ এছাড়া গত মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার এসকোন্ডিডোতে একটি মসজিদে আগুন লাগানোর দায় স্বীকার করা হয়েছে৷ সেই আগুনে অবশ্য হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷
‘‘তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোর কপি আমাদের কাছে আছে এবং আমরা সেগুলোর সত্যাসত্য যাচাই করবো এবং তদন্তকাজে ব্যবহার করব,'' বলেন গোরে৷
এই ঘটনায় আক্রান্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তিনি এই ‘হেইট ক্রাইম'-এর নিন্দা জানান৷
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাইকো মাস এক টুইটার বার্তায় লেখেন, ‘‘আমরা আবারো শঙ্কাজনক ইহুদি বিদ্বেষের উদাহরণ দেখলাম৷ পোলওয়ে সিনাগগে হামলার অর্থ আমাদের সবার ওপর হামলা৷ আমরা নিহতের স্বজন ও আহতদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই৷''
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রয়ভেন রিভলিন বলেন যে, ইহুদি বিদ্বেষ আজও সব জায়গাতেই আছে৷
ঠিক ছয়মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের পিটবুর্গে আরেকটি সিনাগগে হামলায় ১১ জন মারা যান৷
জেডএ/ডিজি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রযটার্স)