যুদ্ধাপরাধের বিচার
২১ অক্টোবর ২০১২গণফোরাম সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আগামী নির্বাচন যেনতেনভাবে করলে হবে না৷ সব দল যাতে নির্বাচনে অংশ নেয় সে ব্যবস্থা করতে হবে৷ তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় বের হওয়ার আগেই সংবিধান সংশোধন করা হল৷ কিন্তু সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়েছিল আগামী দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতে পারে৷ তাই সবাইকে নির্বাচনে আনার ব্যবস্থা করতে হবে৷
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার স্বচ্ছতার সঙ্গে করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি৷ যুদ্ধাপরাধের বিচার ব্যাহত করতে কোনো ষড়যন্ত্র হলে তা প্রকাশ করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে ড. কামাল বলেন, ‘‘আমার কথা হবে, এদের বিচার হোক আইন অনুযায়ী, সুবিচার হোক৷ আমরা বলব না, যেনতেনভাবে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের বিচার করা হোক৷ কারণ আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি৷''
এই বিচার যে স্বচ্ছভাবে হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে নিয়মিত প্রেসব্রিফিংয়ের ওপর জোর দেন গণফোরাম সভাপতি৷ তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে প্রচার-অপপ্রচার সবই থাকতে পারে৷ তাই এ ব্যাপারে সবকিছু সবাইকে জানিয়ে করা দরকার৷
অপরদিকে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, প্রয়োজনে ব্রিটেনের সাথে বন্দিবিনিময় চুক্তি করে যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে দেশে আনা হবে৷ শনিবার হোটেল রেডিসনে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন৷
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিরপেক্ষভাবে করা হচ্ছে দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর মধ্যে যত আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে বা হচ্ছে, তার মধ্যে আমাদের দেশের বিচারকাজ সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে করা হচ্ছে৷