রোহিঙ্গাদের নিতে মিয়ানমারের প্রস্তুতি নেই
২৪ জুলাই ২০১৯স্যাটেলাইট দিয়ে তোলা রাখাইন অঞ্চলের ছবি বিশ্লেষণ করে এমন মন্তব্য করেছে তারা৷
প্রতিষ্ঠানটির একজন গবেষক নাথান রাসার রয়টার্সকে জানান, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ২০১৮ ও ২০১৯ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এখনও ঐ অঞ্চলে ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটছে - যা রোহিঙ্গাদের নিরাপদে পুনর্বাসিত করতে মিয়ানমার সরকারের আগ্রহের বিষয়টিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে৷
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি রাখাইন প্রশাসনিক বিভাগের উপ-পরিচালক কিয়া সয়ার তুন৷ ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলের প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷ সে সময় সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বহু রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ তদন্ত শেষে এ হামলাকে ‘জাতিগত নিধন' বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ৷
ঘটনার এক বছর পর বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছিল মিয়ানমার সরকার৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি৷ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করেছে মিয়ানমার৷
এএসপিআই বলছে, রাখাইন অঞ্চল পুনর্গঠনের কোনো চিহ্ন তাদের চোখে পড়েনি৷ ২০১৭ সালের পর থেকে এ অঞ্চলে নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে বলে সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷ এমনকি রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে সেনাবাহিনীর ছয়টি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে এএসপিআই৷
২০১৮ সালে রয়টার্সের এক তদন্তে দেখা গেছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাখাইন অঞ্চলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য বসতঘর নির্মাণ করছে৷ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের নেওয়া পরিকল্পনায় দেখা গেছে, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ গ্রামে নয় বরং আলাদা এলাকায় প্রত্যাবাসনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷
আরআর/জেডএইচ (রয়টার্স)