1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চি’র বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ নভেম্বর ২০১২

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে গেছে, না মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে গেছে – এই প্রশ্ন তুলেছেন মিয়ানমারের বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সু চি৷ তবে এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির৷

https://p.dw.com/p/16jqX
Myanmar pro-democracy icon Aung San Suu Kyi, center, arrives at parliament to attend a regular session of Myanmar Lower House in Naypyitaw, Myanmar, Wednesday, May 2, 2012. (Foto:Khin Maung Win/AP/dapd).
Amtseid Suu Kyi Birmaছবি: AP

ভারত সফররত শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চি সেখানকার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে দুই পক্ষের তরফেই হিংসার নিন্দা করেন৷ তাছাড়া তিনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করতে চান বলেই তিনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চান৷ সু চি আরও বলেন, আইনের শাসন ও নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করতে হবে৷ যারা মিয়ানমারের বৈধ নাগরিক, তাদের পূর্ণ অধিকার পাওয়া উচিত৷ তবে কিছু মানুষ বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারে এসেছে কি না, তা নিয়ে বিরোধ রয়েছে৷ সীমান্তে নিরাপত্তা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার – দুই দেশেরই দায়িত্ব৷ যদি বে-আইনি অনুপ্রবেশ ঘটে, তা বন্ধ করতে হবে, বলেন সু চি৷ তা না হলে দুই দেশ একে অপরকে দায়ী করে যাবে৷ এখানে উপযুক্ত প্রমাণ আছে কি? এই প্রশ্ন তুলেছেন মিয়ানমারের বিরোধী নেত্রী৷

Bangladesch Rohingya Bootsflüchtlinge
হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশকে মিয়ানমারে জাতিগত দাঙ্গা বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে আরো তৎপর হতে হবে৷ছবি: Asiapics

তাঁর এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির৷ তিনি বলেন, সু চি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্যকে অস্বীকার করছেন৷ কিন্তু মিয়ানমার সরকার তা বলছে না৷ সেখানকার সরকার বার বার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে এটা স্বীকৃত যে মিয়ানমারে জাতিগত দাঙ্গাসহ নানা সমস্যার কারণে সেখান রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে৷ বাংলাদেশ মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সফরে গিয়েও তাদের ফেরত নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারকে বলেছেন৷

হুমায়ুন কবির বলেন, এখন বাংলাদেশের উচিত কূটনৈতিক তৎপরতা আরো জোরদার করা৷ বাংলাদেশকে মিয়ানমারে জাতিগত দাঙ্গা বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে আরো তৎপর হতে হবে৷

বাংলাদেশে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার৷ আর অনিবন্ধিত ৪ লাখ৷ হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশ সরকারে উচিত হবে অং সান সু চি-র বক্তব্যের প্রতিবাদ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য