1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলিতে নিহত ৪

৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে মঙ্গলবার অন্তত চার ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন৷ ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সম্প্রতি আরও অবনতি ঘটেছে৷

https://p.dw.com/p/4ZpRf
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের একাংশ
ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সম্প্রতি আরও অবনতি ঘটেছেছবি: ED JONES/AFP

মিয়ানমারে মূলত মুসলমান সংখ্যালঘু গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের দশ লাখের মতো সদস্য কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছেন৷ তাদের একটি বড় অংশ ২০১৭ সালে নিজ দেশে সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী দেশে এসে আশ্রয় নেন৷ 

কিন্তু শিবিরগুলো ক্রমশ রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে৷ এসব গোষ্ঠী শরণার্থীদের মধ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি মাদক এবং মানবপাচারের কেন্দ্র হিসেবে শিবিরগুলোকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷  

স্থানীয় পুলিশের প্রধান শামীম হোসেন ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান যে, মঙ্গলবার রাতে আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে ঘণ্টাখানেক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে৷ এতে ‘‘চার রোহিঙ্গা শরণার্থী নিহত এবং দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন,'' বলে জানান তিনি৷

এই বিষয়ে আরসা এবং আরএসওর তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি৷

চলতি বছরের শুরু থেকে আরএসও শরণার্থী শিবিরগুলোতে নিজেদের আধিপত্য গড়ার চেষ্টা করছে৷ সেখানে দীর্ঘসময় ধরে আরসার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে৷ এমন একসময় আরএসও এই চেষ্টা করছে যখন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীও আরসার উপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে৷

কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরগুলোতে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের কাছে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই সহিংসতা নিত্যদিনের ব্যাপারে পরিণত হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছর সেখানে সংঘর্ষে ৬০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন যাদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে৷

শিবিরগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে রোববার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর৷

শরণার্থীদের মধ্যে পুষ্টিহীনতাও বাড়ছে৷ জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ডাব্লিউএফপি তহবিল স্বল্পতার কারণে এবছর রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে দিয়েছে৷

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর ব্যাপক নিপীড়ন চালায় দেশটির কর্তৃপক্ষ৷ তাদেরকে দেশটির নাগরিক হিসেবে স্বীকার করা হয় না এবং নানাকিছু থেকে বঞ্চিত রাখা হয়৷

নিজ দেশের নিপীড়ন এবং প্রতিবেশী দেশের শিবিরে সহিংসতা থেকে বাঁচতে অনেক শরণার্থী ঝুঁকিপূর্ণ সাগরপথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷

গতমাসে একহাজারের বেশি শরণার্থী নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন৷ ২০১৫ সালের পর এটাই সবচেয়ে বড় সংখ্যায় রোহিঙ্গারা দেশটিতে পোঁছানোর ঘটনা৷

অনিয়মিত সাগরপথে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে গতবছর ৩৫০ জনের মতো রোহিঙ্গা সাগরে মৃত্যুবরণ করেছেন বা হারিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর৷

এআই/জেডএইচ (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য