রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের বিচারে মিয়ানমারে কোর্ট মার্শাল
২৬ নভেম্বর ২০১৯রোহিঙ্গাদের উপর নিষ্ঠুরতার ঘটনায় মঙ্গলবার নিজস্ব আদালতে বিচার শুরু করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী৷ তদন্তের পর এই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জাও মিন তুন৷
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের উপর চালানো গণহত্যার দায়ে গত ১১ নভেম্বর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) বা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে গাম্বিয়া৷ আগামী ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হবে৷ সেখানে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে৷ পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি-তেও মামলা করা হয়েছে, যদিও এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মিয়ানমার৷
আন্তর্জাতিকভাবে বিচারের এই উদ্যোগ নিজেদের সার্বভৌমত্ত্বের প্রতি হুমকি হিসেবে অভিহিত করে মিয়ানমার বলে আসছে তারা নিজেরাই অভিযোগগুলো তদন্ত করবে৷
ঠিক এমন প্রেক্ষাপটেই কোর্ট মার্শালের কথা জানালো দেশটি৷ এ বিষয়ে রয়টার্সকে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, গু দার পিন নামের একটি গ্রামে নিয়োজিত সৈন্য ও কর্মকর্তারা যথাযথভাবে সামরিক নির্দেশ পালন করেনি৷
এ বিষয়ে সামরিক বাহিনী তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছে, গু দার পিনে দুর্ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সামরিক আইনে বিচার করা হচ্ছে৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেয়া তথ্য ও মোবাইলে করা ভিডিওর প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের এই গ্রামটিতে অন্তত পাঁচটি গণকবর থাকার কথা জানিয়েছিল বার্তা সংস্থা এপি৷ যা অস্বীকার করে এসেছে মিয়ানমার৷
২০১৭ সালে একটি গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার দায়ে সাত সৈন্যকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ এক বছরের কম সময়ের মধ্যে্ অবশ্য তাদের মুক্তি দেয়া হয়৷
এফএস/এসিবি (রয়টার্স)