শিল্পী মুর্তজা বশীরের জীবনাবসান
১৫ আগস্ট ২০২০শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন তার মেয়ে মুনীরা বশীর৷
বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে গুণী এই চিত্রশিল্পীকে৷ ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার পাশাপাশি তার হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি৷ শুক্রবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা ভাইরাস সংক্রমিত বলে জানা যায়৷
মুর্তজা বশীরের জন্ম ১৯৩২ সালের ১ ৭ আগস্ট৷ ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউশ, বগুড়ার করোনেশন ইনস্টিটিউশন, ঢাকা গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টস (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) ও কলকাতা আশুতোষ মিউজিয়ামে তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন৷ ইতালির ফ্লোরেন্স একাডেমি দেল্লে বেল্লে আরতিতে চিত্রকলা ও ফ্রেস্কো বিষয়ে ও পরে প্যারিসের ইকোলে ন্যাশিওনাল সুপিরিয়র দ্য বোজার্ট এবং আকাদেমি গোয়েৎসে মোজাইক ও ছাপচিত্রে অধ্যয়ন করেন মুর্তজা বশীর৷ চিত্রশিল্পের আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি৷ ১৯৭৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণে এক মাসের জন্য দেশটির ৮টি রাজ্যের বিভিন্ন জাদুঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রদর্শন করেন তিনি৷ ‘মন্দির টেরাকোটা শিল্প’ বিষয়ে তিনি ভারতে গিয়ে গবেষণা করেন৷
তার কর্মজীবনের শুরু ১৯৫৫ সালে ঢাকার নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রইং শিক্ষক হিসেবে৷ ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন৷ ১৯৯৮ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন৷
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছিল তার সক্রিয় ভূমিকা৷
‘দেয়াল', ‘শহীদ শিরোনাম’, ‘কালেমা তাইয়্যেবা’, ‘পাখা’ শিল্পী মুর্তজা বশীরের আঁকা উল্লেখযোগ্য সিরিজ৷ চিত্রকলায় অবদানের জন্য ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮০ সালে একুশে পদক, ১৯৭৫ সালে শিল্পকলা একাডেমি পদক পেয়েছেন মুর্তজা বশীর৷
এফএস/এডিকে (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)