শেষ হল গ্রন্থ মেলা
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২এবার অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার৷ তাই এবারের অমর একুশে গ্রন্থ মেলা ২৮ দিনের পরিবর্তে ছিল ২৯ দিনের৷ আর এই বাড়তি একটি দিন যেন পাঠক আর লেখকদের জন্য বাড়তি আনন্দ বয়ে আনলো৷ পরীক্ষার কারণে যাদের বই মেলায় আসার সুযোগ ছিলনা, তারাও তাই শেষ দিনে বই মেলায় এসেছেন৷ তবুও বিদায়ের সুর যেন বেদনার্ত করে তোলে বই মেলার হাওয়া৷
প্রকাশকরা বললেন, এবারের বই মেলায় বরাবরের মতই গল্প উপন্যাস বেশি চলেছে৷ কবিতার পাঠক কম৷ তবে গবেষনাধর্মী বইয়ের চাহিদা ছিল৷ কবি ও কথা সাহিত্যিক মুজতবা আহমেদ মুরশেদ জানান, এই বই মেলার জন্য আবার একটি বছর অপেক্ষা করে থাকবেন তিনি৷ কারণ এ তাঁর প্রাণের মেলা৷
বাংলা একাডেমীর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, বই মেলায় লেখক আর পাঠকের সেতুবন্ধনই বড় পাওয়া৷ এই মেলা সবাইকে মিলিয়ে দেয়, কাছে আনে৷ আর একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, এবারের বই মেলা ছিল সুশৃঙ্খল৷
বই মেলায় ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের স্টলেও ছিল শেষ দিনের ভীড়৷ শ্রোতারা যেন একটি মাস স্টলকে তাদের মিলনকেন্দ্রে পরিণত করেছিলেন৷
বাংলা একাডেমী জানায়, এবারের বই মেলায় রেকর্ড সংখ্যক ৩৪৬৬ টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে৷ গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার বেশি৷ আর নতুন বইয়ের মধ্যে গল্প-উপন্যাসেরই ছিল প্রাধান্য৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ