সংকট গভীর হচ্ছে ইরানে
১ জানুয়ারি ২০১৮এক রাতেই ১০ জন নিহত হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে ইরান সরকারের উচ্চ মহল৷ জরুরি বৈঠক ডাকার কথাও শোনা গেছে৷ চারদিনের বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ১২ জন নিহত হয়েছেন৷ গ্রেফতার হয়েছেন শতাধিক৷
স্থানীয় টেলিভিশনের খবর মতে, মৃতদের ছ'জন মারা গেছেন তুয়াসের্কান নামের একটি ছোট্ট শহরে৷ আরো দু'জন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর ইজেহতে৷ সরকারি টেলিভিশনটির খবরে বলা হয়, তুয়াসের্কানে তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়ে এবং তিন জন সংঘর্ষে মারা যান৷
বিক্ষোভে ক্ষয়ক্ষতির ছবি দেখিয়ে সংবাদমাধ্যমটির খবরে আরো বলা হয়, ‘‘গত রাতের ঘটনায় দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন শহরে ১০ জন মারা গেছেন৷'' তবে এর বেশি কোনো তথ্য উপস্থাপন করেনি তারা৷
ইজেহ শহরের সংসদ সদস্য হেদায়েতুল্লাহ খাদেমি শহরটিতে সোমবার দু'জনের মৃত্যুর খবর জানান৷ বলেন, ‘‘আমি ঠিক জানি না কে গুলি চালিয়েছিল, পুলিশ না বিক্ষোভকারীরা৷'' একটি সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছিলেন তিনি৷
সরকারি টেলিভিশনের রিপোর্টে বলা হয়, ‘‘সশস্ত্র বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি পুলিশ স্টেশন ও সামরিক ঘাঁটি দখলের চেষ্টা করে৷ কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী দৃঢ়তার সাথে তা মোকাবেলা করে৷'' তবে ঠিক কোথায় এই ঘটনাগুলো হয়েছে, তা পরিষ্কার করে বলেনি তারা৷
এর আগে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া প্রতিবাদ চার দিনে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে রূপ নেয়৷ ইরানে চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি সবাইকে শান্ত হবার আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন যে, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার জনগণের আছে৷ কিন্তু কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাস্ত না করার ঘোষণা দেন তিনি৷ এরপরও বিক্ষোভ থামেনি৷ বরং সামাজিক গণমাধ্যমে রাজধানী তেহরানসহ ৫০টি শহরে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়া হয়৷
জেডএ/ডিজি