অভিযোগ অস্বীকার করল চীন
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩প্রথমে অভিযোগটা অবশ্য মার্কিন প্রশাসন করেনি৷ যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যান্ডিয়্যান্ট জানিয়েছিল, চীনের সেনাবাহিনীর সাইবার গোয়েন্দা ইউনিট যুক্তরাষ্ট্র এবং আরো কয়েকটি দেশের কিছু প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে৷ এটাকে তারা বলেছিল, ‘হ্যাকিং অ্যাটাক'৷ এর আগে নিউ ইয়র্ক টাইমস আর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালও একই দাবি করেছিল৷ পরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারও ইঙ্গিতে অভিযোগের আঙুল তোলে চীনের দিকে৷ এক বিবৃতিতে চীনের নাম উল্লেখ না করে শুধু বলা হয়, সাইবার হামলা হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এমন হামলা বন্ধ করতে আক্রমণাত্মক নীতি অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ চীনও আর নীরব নেই৷ বৃহস্পতিবার সে দেশের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ‘চায়না ডেইলি' সব অভিযোগের জবাব দিয়েছে সম্পাদকীয়তে৷
সেখানে অভিযোগকে নিছক বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীন৷ বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে পুরোপুরি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং ইয়াংশেংকে উদ্ধৃত করে সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আসলে নিজেদের অর্থনৈতিক দুরবস্থাকে জনগণের দৃষ্টি থেকে বাইরে রাখতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে৷ এভাবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পত্রিকাটি প্রশ্ন রেখেছে, যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে তারা খুব এগিয়ে৷ তাই যদি হবে, তাহলে এমন কিছু ঘটে কী করে! এমন অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র জনগণকে সে দেশের সাইবার নিরাপত্তা সেবা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে চাইছে – এমন কথাও লেখা হয়েছে সম্পাদকীয়তে৷
অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেই থেমে যায়নি চীন৷ সঙ্গে এ-ও জানিয়েছে, তাদের ওপর অনেক আগে থেকেই সাইবার হামলা চলছে, কিন্তু কারণে-অকারণে অভিযোগের আঙুল তোলার মানসিকতা নেই বলে বিষয়টি নিয়ে কখনো উচ্চবাচ্য করা হয়নি৷ হামলাকারী নয়, নিজেদের হামলার শিকার হিসেবে তুলে ধরে চীন মনে করিয়ে দিয়েছে, ‘‘সারা বিশ্বে সাইবার হামলা চালানোর ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের আছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সাইবার বাহিনীও আছে৷ সাইবার মিশন নিয়ে কাজ করাই তাদের দায়িত্ব৷'' যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশে চীনের সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে লেখা সম্পাদকীয় শেষ হয়েছে একটা আশার কথা দিয়ে, ‘‘একদিন সত্য উন্মোচিত হবেই৷''
এসিবি এসবি (এএফপি)