1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাত বিলিয়ন মানুষ এই বিশ্বে, তাও মানুষ কমছে: জাতিসংঘ

৩০ অক্টোবর ২০১১

বিশ্বজুড়ে মানুষের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন অনেক৷ আগামীকাল, ৩১ অক্টোবর গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা সাত বিলিয়নে পৌঁছবে৷ অন্যদিকে কিন্তু আবার জন্মহার কমছে, বলছে জাতিসংঘের রিপোর্ট৷

https://p.dw.com/p/131pp
ছবি: picture-alliance/dpa

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেই গোড়ায় ঘুরে আসা যাক৷ সেখানে, ধরা যাক, চীন, বাংলাদেশ বা ভারতের মত দেশে গেলে মনে হবে, এত মানুষ! এত এত মানুষ! একই ছবি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেই৷ আবার যদি বিশ্বের অন্যদিকে তাকানো যায়, ধরা যাক, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া কিংবা অ্যামেরিকার অধিকাংশ জায়গায়, সেখানে আবার জনসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম৷ কোথাও কোথাও প্রবীণরা সংখ্যায় এতটাই বেশি, যে সুইডেন বা জার্মানির মত বেশ কিছু দেশে পরিসংখ্যানগত ভাবে জন্মহার পড়তির দিকে৷ যেখানে যথেষ্ট সংখ্যক শিশুর জন্মাচ্ছে না৷

পরিস্থিতিটা সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে তেমন আশাব্যঞ্জক নয়৷ জাতিসংঘের বর্তমান রিপোর্ট সেকথাই বলছে স্পষ্ট করে৷ বলছে, পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুহার কমেছে, সংখ্যায় বেড়ে এই বিশ্বের মানুষজন এবার সাত বিলিয়নের পেল্লাই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলতে চলেছে৷ কিন্তু সেই সাফল্যটা অন্যদিক থেকে দেখলে যথেষ্ট দুশ্চিন্তাতেই ফেলছে আন্তর্জাতিক মহলকে৷ কারণ, দরিদ্র দেশগুলোতে জনসংখ্যার ভয়ংকর চাপ৷ যেখানে উন্নয়ন সহজে তার পথ তৈরি করতে পারছে না এই জন বিস্ফোরণের ফলে৷ জন্ম নিয়ন্ত্রণের যে পদ্ধতি গত কয়েক দশক যাবৎ বিশ্বকে একটা স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে গেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে উন্নত বিশ্বই তার সুফল আর কুফল দুটোতেই ভুগছে৷ আর অনুন্নত বা উন্নতিশীল দুনিয়া আবার কেবলমাত্র তার কুফলের প্রভাবেই এখনও ধুঁকছে৷

Symbolbild Hunger Nordkorea Asien Kinder
দরিদ্র দেশগুলোতে জনসংখ্যার ভয়ংকর চাপ (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance / dpa

জনসংখ্যার স্বাভাবিক পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গত শতাব্দীর পাঁচের দশকে এই বিশ্বে যেখানে গড়ে একটি নারীর ছয়টি বাচ্চা হতো, জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি জনপ্রিয়তা আর গ্রহণযোগ্যতা লাভ করার পর সেই সংখ্যাটা নেমে দাঁড়িয়েছে মাথাপিছু ২.৫ টি সন্তানে এই ২০১১ সালে৷ কিন্তু বিশ্বের সামনে জন বিস্ফোরণের সমস্যা মেটেনি৷ ২০১১ সালেই মানুষ তার সংখ্যা সাত বিলিয়নে পৌঁছে দিল, যে সংখ্যাটা আরও বাড়বে অদূর ভবিষ্যতে৷ কিন্তু, ভৌগোলিকভাবে যেখানে যত জনসংখ্যার প্রয়োজন, সেখানে সেভাবে মানুষ অপ্রতুল৷ অন্যদিকে, যেসব দেশ জন বিস্ফোরণ আর দারিদ্রের চাপে সমস্যাসংকুল, সেখানে বেড়েই চলেছে জনসংখ্যা, অবিরল স্রোতের মত৷

জাতিসংঘের রিপোর্ট তাই এই বিশ্বে মানুষের জয়যাত্রার আর অস্তিত্বের আশার বাণী দিয়ে শুরু হলেও, তারপর কিন্তু ক্রমশ নিরাশার কথাই শুনিয়েছে৷ যে সমস্ত সমাজে জন্মহার শূণ্যেরও নীচে নেমে গেছে, সেসব দেশের ভবিষ্যৎ আশাব্যঞ্জক নয়৷ কিছু কিছু জনগোষ্ঠী এই জন্মহার কমে যাওয়ার প্রভাবে ভবিষ্যতে অস্তিত্বের সংকটে পড়বে এই হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছে এই রিপোর্ট৷

সুতরাং, মানুষের জন্মের সংবাদে আর এই বিশ্বে নিজেদের প্রমাণ করার প্রতিযোগিতায় মানুষ এখনও কিছুটা দ্বিধার মধ্যেই রয়ে যাচ্ছে৷ তা, আধুনিকতা যতই আমাদের গর্বিত করুক না কেন!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য