সাড়ে তিন মিনিটেই বিশ্ব কাঁপাচ্ছে ‘রূপসি বাংলাদেশ’
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১সমুদ্র সৈকতে সোনালি কাঁকড়ার বিচরণ৷ পরের দৃশ্যেই এক তরুণীকে দেখা গেল, দৌঁড়াচ্ছেন সৈকতে৷ না, কোন আতঙ্কে নয়৷ সমুদ্রগামী একদল মৎসজীবীকে বিদায় জানাতে এই দৌড়৷ এরপর সেই তরুণী চলে যায় সুন্দরবনে, বাঘের খোঁজে৷
এভাবে বাংলাদেশের নানা প্রান্তরে ঘুরে বেড়ায় তরুণী৷ ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে শুরু করে কুষ্টিয়ায় লালনের আখড়া - সর্বত্রই বাংলার রূপ খুঁজে বেড়ায় সে৷ মাছ ধরতে নেমে পড়ে বিলে৷ নাচে আদিবাসীদের সঙ্গে৷ ভেজে বর্ষায়৷ এক স্বাধীন দেশে স্বাধীন নারীর বিমূর্ত রূপ ফুটে উঠে তরুণীর মাঝে৷
সাড়ে তিন মিনিটের এই ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয় ঢাকায়, বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে৷ এরপর এই নিয়ে ব্লগে, ফেসবুকে আলোচনার ঝড়৷ সবার এক কথা, সত্যি কি সুন্দর এই দেশ, বাংলাদেশ৷ ব্লগার একরামুল হক শামীম এই নিয়ে লিখেছেন, বাংলাদেশের এতো সুন্দর সুন্দর জায়গা এখনও দেখা হয় নি৷ অপর ব্লগার বাসন্ত বিষুবের মন্তব্য, ‘‘পৃথিবীর যে মানুষরা এতোদিন অবজ্ঞাভরে বলতো, কোথায় বাংলাদেশ, এ নাম তো আগে শুনিনি৷ তারাও আজ জেনে গেল কোথায় এই রূপসী বাংলাদেশ৷ সবুজ ধান ক্ষেত, হলুদ সরষে ক্ষেত, ধীর অথচ গভীর নদী আর সুন্দর বনের দেশ তাদের অজানা সেই বাংলাদেশ''৷
ইতিমধ্যে ফেসবুকে সহস্রাধিকবার এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে৷ ইউটিউবেও নানাভাবে এটিকে প্রচারের চেষ্টা করছে ইন্টারনেট প্রজন্ম৷ উদ্দেশ্য একটাই, বাংলাদেশের ভালো দিকগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরা৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের জন্য এই ভিডিওটি তৈরি করেছে রেড ডট৷ পরিচালনায় ছিলেন গাজী শুভ্র৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক