আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযান
২ জুন ২০১৬তথাকথিত ‘মনবিজ পকেট' দখল করার অভিযান শুরু হয় মঙ্গলবার৷ মঙ্গলবারই মার্কিন জোটের জঙ্গিজেট অন্তত ১৮ বার হানা দেয় ও মনবিজের কাছে ইসলামিক স্টেটের ছয়টি সামরিক গোষ্ঠী, দু'টি প্রশাসনিক কার্যালয় ও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপর রকেট আক্রমণ চালায়৷
মনবিজ শহরটি উত্তরে তুর্কি সীমান্তের কাছের জারাব্লুস ও দক্ষিণে রাকার মাঝামাঝি অবস্থিত৷ রাকায় রসদ আসে মূলত এই পথে, তাই আইএস-বিরোধী যোদ্ধারা মনবিজ ও জারাব্লুস দখল করতে চায়৷ তা দখল করা গেলে আইএস-এর আরো পশ্চিমে কয়েকটি গ্রামীণ এলাকা ছাড়া তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার আর কোনো পথ থাকবে না৷
অভিযান চালাচ্ছে মূলত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ, যদিও দৃশ্যত শ-দুয়েক মার্কিন সেনা তাদের সঙ্গে রয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা এই স্থলাভিযানের জন্য প্রায় ৩০০ মার্কিন সৈন্য মঞ্জুর করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে৷
এসডিএফ বাহিনীতে কুর্ডিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটস বা ওয়াইপিজি সদস্যই বেশি৷ কাজেই ওয়াইপিজি যে তুর্কি-সিরীয় সীমান্তের অবশিষ্ট অংশটুকুও নিজেদের দখলে আনবে, আংকারার সেটা কাম্য নয়৷ ন্যাটো সহযোগী তুরস্ককে আশ্বস্ত করার জন্যই পেন্টাগনের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, মনবিজ অভিযানে প্রধানত এসডিএফ-এর আরব যোদ্ধারা অংশগ্রহণ করছে, সেখানে কুর্দি যোদ্ধাদের সংখ্যা নাকি বিশ শতাংশের বেশি নয়৷ এমনকি যুদ্ধের পর কুর্দিরা আরবদের হাতে জমি ছেড়ে দেবে- এমন আশ্বাসও নাকি দিয়েছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা৷ তবে লন্ডন-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে যে, এসডিএফ-এর অভিযানে প্রধানত ওয়াইপিজি মিলিশিয়া অংশ নিচ্ছে৷
মনবিজ অভিযান সফল হলে, পরের লক্ষ্য হবে রাকা, এটা ধরে নেওয়া যেতে পারে৷ অপরদিকে একটানা যুদ্ধের ফলে সিরিয়ার জনসাধারণের শোচনীয় অবস্থা আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ ফ্রান্স এবার জাতিসংঘের প্রতি সিরিয়ায় ত্রাণসাহায্য ‘এয়ার ড্রপ' করতে শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে৷
এসি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)