সিসোদিয়াকে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজত
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান, সিসোদিয়া তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। তিনি প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি আবগারি নীতির ছয়টি বিতর্কিত ধারার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি লিকার লবিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। বিনিময়ে তাকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দেয়া হয়েছে।
সিবিআইয়ের দাবি, সিসোদিয়ার কম্পিউটার থেকে একটা খসড়া নোট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি মদ সংস্থার লাভের পরিমাণ পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার সুপারিশ করছেন। সেটাও আইনি সুপারিশ মুছে দিয়ে।
সিসোদিয়ার আইনজীবী দয়ান কৃষ্ণনের সওয়াল হলো, তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না বলে সিবিআই হেফাজতে রাখতে হবে, এই যুক্তি মানা যায় না। কারণ, সিবিআই প্রত্যাশা করবে, তারা যে জবাব চাইছে, অভিযুক্ত তাই দেবেন। সেটা তো হতে পারে না।
তার যুক্তি ২০২১ সালের মে মাসে এলজি এই আবগারি নীতিতে সই করেছিলেন। তিনি কিছু সুপারিশ করেছিলেন। সেগুলিও মেনে নেয়া হয়।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
সোমবার পর্যন্ত কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে সব বিরোধী দল সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করার তীব্র নিন্দা করেছিল। দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান অবশ্য বিবৃতি দিয়ে সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করার ঘটনাকে সমর্থন করেছিলেন। সোমবার কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ একটা বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে আপ বা সিসোদিয়ার নাম নেয়া হয়নি। কিন্তু সিবিআই, ইডি-র অপব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই)