৯৩৭ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে শ্রমিকরা
৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯তিনি বলেন, এবছরের জুনে টাকা পাঠানোর পরিমাণ ছিল ৯১৯ মিলিয়ন ডলার৷ কিন্তু আগষ্টে যে টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে এসেছে তার অংক, বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ৷
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ইদুল ফিতর এবং হিন্দুদের ধর্মীয় অনু্ষ্ঠান দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে এই রেকর্ড পরিমাণ টাকা প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর৷
বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশে ৬৫ লাখ বাংলাদেশী কাজ করেন৷ জুনে বিশ্ব অর্থনীতির সংকটকালেও বাংলাদেশ এবছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রায় ৩লাখ জনশক্তি রপ্তানি করেছে৷ যদিও তা গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৯ শতাংশ কম৷ সরকারের হিসাব মতে গেল বছরের তুলনায় এবছরের আট মাসে বিদেশে বাংলাদেশীদের কাজের সুযোগ কমেছে ৩০শতাংশ৷ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়শিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো বড় শ্রম বাজারে বাংলাদেশী শ্রমিকদের চলাচল কমেছে উল্লেখ করার মতো৷
কিন্তু তারপরও রেমিটেন্সের এই স্রোতকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা৷ ডেপুটি
গভর্নর জানিয়েছেন, রেমিটেন্সের পরিমাণ বলছে যে, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশের রেমিটেন্স প্রবাহের উপর তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি৷
গেল বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের দশ শতাংশ আসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকেই৷ যদিও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ বা এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক হিসেব করে বলেছে যে, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বাংলাদেশে ২০০৯ সালে এই রেমিটেন্সের প্রবাহ হবে নিম্নমুখী৷
প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক