ফেলে দেয়া শ্যাম্পুর বোতল দিয়ে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা
১৭ অক্টোবর ২০১৭১৯৯৬ সালের সে রাতের পর সেই তরুণ চিকিৎসক মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, নিউমোনিয়া থেকে শিশুদের বাঁচানোর জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন৷
দুই দশক গবেষণার পর ড. চিস্তি নিয়ে এসেছেন নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যু ঠেকানোর একেবারেই সস্তা একটি উপায় যা হাজারো বাচ্চার জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে৷ আবিষ্কার করেছেন ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের শ্যাম্পুর বোতল আর নল দিয়ে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর জীবন বাঁচানোর উপায়৷ জানিয়েছে বিবিসি৷
<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2FBBCBengaliService%2Fvideos%2F1636355806403318%2F&show_text=0&width=560" width="560" height="315" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allowFullScreen="true"></iframe>
সাধারণত নিউমনিয়া হলে শিশুদের ফুসফুস প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না৷ সেসময় নিঃশ্বাসে সাহায্য করার জন্যব্যবহৃত হয় ভেন্টিলেটর৷ যন্ত্রটির দাম প্রায় ১৫ হাজার ডলার৷ বাংলাদেশের অনেক হাসপাতালে এ যন্ত্রটি রাখা সম্ভব হয় না৷ ফলে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুরা অনেকক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে মারা যায়৷
প্রতি বছর প্রায় ৯ লক্ষ ২০ হাজার বাচ্চা মারা যায় নিউমোনিয়ায়, প্রধানত দক্ষিণ এশিয়া এবং সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে অবস্থিত আফ্রিকা মহাদেশে৷
ড. চিশতি ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের শ্যাম্পু বোতলে পানি ভরে এবং নলের মাধ্যমে তাতে অক্সিজেন সররাহ করে এক প্রান্ত দিয়ে শিশুকে নিঃশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করেন৷ অত্যন্ত সহজ এ প্রযুক্তি নিউমনিয়া আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুসে চাপ দিয়ে নিঃশ্বাস গ্রহণে বাধ্য করে৷ এ পর্যন্ত এ প্রযুক্তির সফল ব্যবহার করে প্রায় ছয়শ' শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে৷ এ বাবল সিপিএপি যন্ত্রের দাম মাত্র ১.২৫ ডলার৷ ফলে যে কোনো হাসপাতালে খুব সহজেই এর ব্যবহার করে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব৷
বাংলাদেশের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতির অসামান্য এ আবিষ্কার এরই মধ্যেই সাড়া ফেলেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে৷ তাঁর প্রত্যাশা, স্বল্পমূল্যের এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিউমনিয়ায় শিশু মৃত্যুর হার শুণ্যের কোঠায় আনা৷
আরএন/ডিজি