কোমায় থাকা নারীর সন্তান প্রসব!
২৭ জানুয়ারি ২০১৯গত ২৯ ডিসেম্বর অ্যামেরিকার অ্যারিজোনার ফিনিক্স এলাকার এক হাসপাতালে কোমায় থাকা ওই নারী সন্তান প্রসব করেন৷ এর আগে ২৪ ডিসেম্বর তাঁর গর্ভ ধারণের বিষয়ে নিশ্চিত হন হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৮ মাসে গর্ভধারণ বিষয়ক কোনো জটিলতা বা কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি৷
পরে পুলিশ শিশুটির ডিএনএ টেস্টের পাশাপাশি হাসপাতালের কর্মচারীদের ডিএনএ পরীক্ষা করে নাথান সাদারল্যান্ড নামের ৩৬ বছর বয়সি এ কর্মচারীকে গ্রেফতার করে৷
পুলিশ কর্মকর্তা জেরি উইলিয়াম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘সেই নারীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করি৷ শুরু থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গ সহায়তা করে আসছে৷ এটিকেযৌন নির্যাতনের ঘটনা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে৷'' তিনি জানান, গত ৩০ বছরের পেশাজীবনে এমন ধরনের অভিযোগ কখনোই তার কাছে আসেনি৷
অভিযোগ তদন্তকারী পুলিশ সার্জেন্ট টমি থমসন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সাদারল্যান্ড একজন লাইসেন্সধারী পুরুষ নার্স৷ হাসপাতালে তিনি সেই নারীর সেবার দায়িত্বে ছিলেন৷ তিনি জানান, শিশুপুত্রটি সুস্থ আছে৷ তিনি আশা করেন, শিশুটি যথাযথ ভালোবাসা ও যত্নেই লালিত হবে৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা কোনো জন্মের ঘটনা নির্ধারণ করতে পারি না, কিন্তু জন্ম নেওয়া শিশুটিকে ভালোবাসতে ও সুন্দর পরিবেশ দিতে পারি৷''
কোমায় থাকা অবস্থায় সন্তান প্রসব করা নারীর পরিবারের আইনজীবী জানান, সেই নারী মুখভঙ্গির মাধ্যমে মনোভাব প্রকাশ করতে পারেন, সামান্য ঘাড় ও মাথা নাড়তে পারেন, কিন্তু কথা বলতে পারেন না৷ গত এক দশক ধরে এমন অবস্থায় রয়েছেন তিনি৷ তবে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ৷ শিশুটি পরিবারের কাছে যত্নে ও ভালোবাসায় লালিত হবে, এমন নিশ্চয়তাও দেয়া হয়েছে৷
এদিকে সেই হাসপাতালের নার্সিং ফ্যাসিলিটি বিভাগের প্রধান নির্বাহী এ ঘটনার পর পদত্যাগ করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটি ভীষণ ঘৃণ্য কাজ৷ আমাদের দায়িত্ব ছিল তাঁর পূর্ণাঙ্গ সেবা নিশ্চিত করা৷ আমরা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছি৷''
এফএ/এসিবি (এপি/এএফপি)