বায়ার্নকে এবার রোখে কে?
৩ অক্টোবর ২০১৩বায়ার্ন জিতল কেন, ব্রিটেনের স্কাই স্পোর্টস চ্যানেলকে তার ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন বায়ার্নের উইঙ্গার আরিয়েন রবেন: ‘‘ইউরোপের এত বড় একটা দলের বিরুদ্ধে আমরা এভাবে চেপে ছিলাম – খেলাটা যে এত সহজ হবে, তা আমরা ভাবতে পারিনি৷''
রবেনের অ্যানালিসিস যেন সহকারী কোচের প্যাডে আঁকা ছবি: ‘‘আমরা ওদের জায়গা দিইনি, সামনের দিকে চেপে চলেছি৷ কখনো-সখনো ওরা আমাদের বড্ড বেশি জায়গা দিয়েছে, আর আমরা এমন একটা দল, যারা জায়গা পেলে তার সদ্ব্যবহার করতে জানে বলে আমার ধারণা৷''
রবেন তথা বায়ার্নের কোচ গুয়ার্দিওলা কিন্তু পরাজিত প্রতিপক্ষকেও তাচ্ছিল্য করার বিপক্ষে: সেটা নাকি অভব্যতার লক্ষণ৷ অভব্যতা? অশ্রদ্ধা? খেলার ৬১ ভাগ সময় বল ছিল বায়ার্নের পায়ে, ৩৯ শতাংশ সময় ম্যান সিটির পায়ে৷ বায়ার্ন ১৩ বার প্রতিপক্ষের গোলের দিকে টার্গেট করেছে; ম্যান সিটি মাত্র দু'বার৷
‘রবারি' প্লাস ম্যুলার
ফ্রঙ্ক রিবেরি বায়ার্নের হয়ে প্রথম গোলটি করেন: এমন ক্ষিপ্র গতিতে যে টেলিভিশনের সামনে বসেও দর্শকদের রিপ্লের অপেক্ষায় থাকতে হয়৷ টোমাস ম্যুলারের দ্বিতীয় গোলটি ওঁর মতো একজন ফরোয়ার্ডের ঠিক যেমনটি হওয়া এবং করা উচিত: বল রিসিভ করো, গোলিকে ডিসিভ করো, বলটা গোলে ঠেলে দাও৷ বায়ার্নের তৃতীয় গোলটি শুধু একটি কারণেই ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলবে: আরিয়েন রবেন বলটা ডানদিকে কাটিয়ে ডান পা-য়ের শটে গোল করছেন! এতে শুধু ম্যান সিটির জো হার্ট কেন, দুনিয়ার যে কোনো গোলকিপারের ধাঁধাঁ লেগে যাওয়ার কথা৷
পেপ গুয়ার্দিওলা বায়ার্নের প্রতিটি গোলে হাতে মুঠো পাকিয়ে হর্ষ প্রকাশ করলেও, তাঁর সমালোচনা বিভীষণ: বায়ার্নদের সেট-পিস প্লে – অর্থাৎ স্ট্যান্ডার্ড সিচুয়েশন থেকে গোল করার প্রচেষ্টাগুলোকে বলেছেন ‘‘একটা বিপর্যয়, নিদারুণ খারাপ''৷ তবে ওটা ইমপ্রুভ করার টাইম আছে৷ বুধবার তো ছিল এই চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযানের মাত্র দ্বিতীয় খেলা৷ এটাও পেপের মন্তব্য৷
বাকিরা
গ্রুপ ‘এ'-তে বায়ার লেভারকুজেনও জিতেছে রেয়াল সোসিয়েদাদের বিরুদ্ধে, ২-১ গোলে৷ এক্ষেত্রে ইয়েন্স হেগেলারের ফ্রি-কিকটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ তবে জার্মানদের ছেড়ে বাকিদের দিকে নজর ফেরালে প্রথমেই বলতে হবে রেয়ালের গোল-মেশিনের কথা: গালাতাসারাই-এর বিরুদ্ধে ছ'বার নেটে বল ঝোলানোর পর মাদ্রিদ এবার এফসি কেপেনহাগেনকে হারিয়েছে ৪-০ গোলে৷ তার মধ্যে দু'টি গোল ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর৷ ওদিকে পিএসজি-র হয়ে বেনফিকা লিসাবনের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জয়ে স্লাটান ইব্রাহিমোভিচও দু'টি গোল করেছেন৷ তবে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন অলিম্পিয়াকোস পিরেউস-এর কস্তাস মিত্রোগলু, যিনি আন্ডারলেশ্টের বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করেছেন৷ খেলার স্কোর? তিন-শূন্য৷
ফুটবলে ওঠা-নামা দুই-ই আছে৷ তাই খোদ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শাখতার ডোনেৎস্কে গিয়ে ১-১ গোলে ড্র-এর বেশি কিছু করতে পারেনি৷ ওদিকে গ্যালাতাসারাই খেলার মাত্র দু'দিন আগে নতুন কোচ রবের্তো মানসিনিকে পেয়েছে – মানসিনি নাকি এখনো পর্যন্ত প্লেয়ারদের নামগুলোই শিখে উঠতে পারেননি৷ কিন্তু সেই গ্যালাতাসারাই বুধবার খোদ ইউভেন্তুসের কাছ থেকে একটি পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে ২-২ গোলে ড্র করে৷
এসি/ডিজি (রয়টার্স)