বিএনপি এলে বিচার হবে
৮ জুলাই ২০১৫গতবছর ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়৷ তিন দিন পর তাঁদের লাশ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে৷ নজরুলের স্ত্রী ও চন্দন সরকারের জামাতা মামলা করেন৷ গত ৮ই এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুই কাউন্সিলর নূর হোসেন ও ব়্যাব-এর তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন৷
অভিযোগ-পত্রে এজাহারভুক্ত ১৬ জনের নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশও করেন তিনি৷ নিহত সাতজনের লাশ উদ্ধারের পরই নজরুলের শ্বশুর অভিযোগ করেছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ব়্যাবকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে৷ দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় বয়ে যায়৷
আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে৷ এক পর্যায়ে তখনকার মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়ার জামাতা তারেক সাইদ ও অন্য দুই ব়্যাব কর্মকর্তা আরিফ ও রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ৩৫ জন আসামির মধ্যে মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও, ব়্যাব-এর ৮ সদস্যসহ ১৩ জন এখনো পলাতক৷ প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন৷ সেখানেই তাকে আটক করে কারাবন্দি করা হয়৷ মঙ্গলবার নূর হোসেনসহ ঐ ১৩ জনের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত৷
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের ফেসবুক পাতা অনুসারণকারীদের খবরটি জানিয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হয়েছিল৷ নানা ধরণের মন্তব্য এসেছে৷ শফিকুর রহমান দুলালের দৃঢ় বিশ্বাস, ‘‘তারেক সাইদ আবশ্যই বেঁচে যাবে, বেশি হলে কয়েক বছরের জেল হবে৷''
মজিবুর রহমান মনে করেন, ‘‘মুল পরিকল্পনাকারীদের অনেকেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেল!''
মাসুদ রানা যেন খুব একটা অবাক নন৷ নিহত এবং হত্যার পরিকল্পনাকারী – দুই পক্ষেই যে নারায়ণগঞ্চ আওয়ামী লীগের নেতারা রয়েছেন, এ বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘যে পানির সাপ সে পানির মাছ৷''
ডিডাব্লিউ-র বাংলা বিভাগের ফেসবুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘ব়্যাব-এর ৮ সদস্যসহ ১৩ জন পলাতক কি ধরা পড়বে? বিচার হবে তাদের? পাঠক, আপনার কী মনে হয়?'' এর জবাবে মঞ্জুরুল হক মনজু বলেছেন, ‘‘না৷''
তবে রাহী অর্ণব, মনে করেন, ‘‘অবশ্যই বিচার হবে৷''
এছাড়া বিচার যে হবে এ বিষয়ে মাহফুজ আহমেদও একরকম নিশ্চিত৷ তবে তাঁর ধারণা, ‘‘বিএনপি আসলে বিচার হবে৷''
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ