শরণার্থী শিশুদের নিতে চায় জার্মানি
৯ মার্চ ২০২০গ্রিসের জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত শিশুদের একটি অংশকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জার্মানি৷ সোমবার জার্মান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই তথ্য৷ তবে, ইউরোপের অন্য যেসব দেশ শিশুদের আশ্রয় দিতে আগ্রহী, সেসব দেশ নিয়ে গড়া জোটের অংশ হিসেবে শিশুদের দায়িত্ব নিতে চায় ইউরোপের কেন্দ্রের দেশটি৷
জোট সরকারের সঙ্গীদের সঙ্গে গ্রিস সীমান্ত সংলগ্ন শরণার্থী শিবিরগুলোতে সৃষ্ট মানবিক সংকট নিয়ে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের আলোচনার পর এই ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি৷ সম্প্রতি গ্রিসে প্রবেশে আগ্রহী শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার তুরস্কের ঘোষণার পর থেকে দেশটিতে অবস্থিত অনেক শরণার্থী গ্রিস সীমান্ত জড়ো হয়৷ তবে, গ্রিক সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তখন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে নতুন এই শরণার্থীদের জন্য ইউরোপের সীমান্ত খোলা হবে না৷
শিশু শরণার্থীদের ক্ষেত্রে জার্মানির ঘোষণা এক্ষেত্রে এক ব্যতিক্রমই বলা যেতে পারে৷ প্রাথমিকভাবে গ্রিক শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত জরুরী সহায়তা দরকার এমন এক থেকে দেড় হাজার শিশুকে সনাক্ত করা হবে৷ বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়েসি অভিভাবকহীন শিশুরা এবং জরুরী চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন এমন শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে৷ আর এই নীতিমালা অনুসারে মেয়েরা প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি৷
জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম শরিক দল সিডিইউ এর চেয়ার আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাওয়ার জানিয়েছেন, ফ্রান্সও সম্ভবত শিশুদের নিতে আগ্রহীদের জোটের অংশ হবে৷ এছাড়া ইউরোপের অন্য কোন কোন দেশ এই জোটে থাকবে তা এখনো পরিষ্কার নয়৷
‘চাপের কাছে নতি স্বীকার' করবে না ইইউ
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার ইদলিব রাজ্যে কিছুদিন আগে তুর্কি বাহিনীর সঙ্গে রাশিয়া সমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি হলে তুরস্ক সীমান্তে শরণার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায়৷ তুরস্ক ইতোমধ্যে ২০১৬ সালে ইইউ এর সঙ্গে এক চুক্তির আওতায় ৩৫ লাখের মতো সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে৷ আর এজন্য দেশটিকে কোটি কোটি ইউরো দিচ্ছে ইইউ৷
ইইউ এই অর্থ সহায়তা আরো না বাড়ালে নতুন আগত শরণার্থীদের দেশটিতে আশ্রয় দেয়া হবে না বলে জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ কিন্তু, ইইউ এর বিদেশ নীতি বিষয়ক কাউন্সিল গত সপ্তাহে সাফ জানিয়েছে কোন রকম চাপের কাছে নতি স্বীকার করে তুরস্ককে বাড়তি পয়সা দেয়া হবে না৷
এআই/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)