হাসপাতাল বন্ধ হলে পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা সংকটের সম্ভাবনা
১৪ ডিসেম্বর ২০১১আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ড প্রশাসনের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার প্রশ্নে রাজ্যের নামি হাসপাতালগুলো কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন৷ ফলে তৎপর হয়েছে দমকল বিভাগ এবং বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে পরিদর্শন শুরু হয়েছে৷ নিয়ম না মানায় বেশ কিছু চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু এই একতরফা শাস্তি কতটা যুক্তিযুক্ত, এই প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ৷ শহরের বিভিন্ন নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত আছেন যে সব চিকিৎসক, তাঁরা কিন্তু মনে করছেন নাগরিক ক্ষোভ প্রশমন করতে সরকারের কঠোর হওয়া দরকার ছিল৷ কিন্তু তাঁরা এটাও মনে করছেন যে, দুর্ঘটনার দায় একা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর চাপিয়ে দেওয়াটা ঠিক নয়৷ যে দমকল বিভাগ সাময়িক ছাড়পত্র দিয়ে ওই হাসপাতালগুলিকে ব্যবসা চালাতে দিয়েছিল, তারাও সমান দায়ী৷
এমনটাই বলছিলেন শহরের নামী অ্যানাস্থেটিস্ট, ডাঃ নির্মল হালদার৷ তাঁর পেশাগত দক্ষতা এমন এক বিষয়ে, যেটা কাজে লাগাতে গেলে কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের সঙ্গে তাঁকে যুক্ত থাকতে হবেই৷ সেক্ষেত্রে দমকল বিধি না মানার কারণে যদি এভাবে একের পর এক বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধ হতে থাকে, তাহলে শুধু এরকম চিকিৎসকরাই নন, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেক পেশাদারেরই জীবিকা বিপন্ন হবে৷ তা ছাড়া এর ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংকটে পড়ারও একটা আশংকা রয়েছে, বললেন ডাঃ হালদার৷
কাজেই এই প্রশ্নটা এখন অনেক সাধারণ মানুষেরও যে, হঠাৎ চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তাঁরা এবার কার দ্বারস্থ হবেন৷ সরকারই সেই সমাধানসূত্র বাতলে দিক, এটাই এখন তাঁদের একমাত্র প্রত্যাশা৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক