ডয়চে ভেলের মুখোমুখি ইমরান খান
১১ আগস্ট ২০১৭ইমরান খান পাকিস্তানের রাজনীতিতে নবাগত বলা চলে৷ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন খান নব্বই-এর দশকের শেষের দিকে রাজনীতিতে আসেন ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বা ‘ন্যায়ের জন্য আন্দোলন’ দলটি প্রতিষ্ঠা করেন৷
ইমরান খানকে পাকিস্তানের চিরকালের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে গণ্য করা হয়৷ তাঁরই নেতৃত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ সালে প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে৷ খানকে রাজনীতিক হিসেবে স্বীকৃতি পেতে কিছুটা সময় দিতে হলেও, আজ তিনি পাকিস্তানি রাজনীতির প্রাঙ্গণে একজন ‘কি প্লেয়ার’৷
খানের পিটিআই দল ২০১৩ সালের মে মাসের সংসদীয় নির্বাচনে তৃতীয় স্থান অধিকার করে; আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশও তাঁর দলের শাসনে৷ তিনি চান যে, ইসলামাবাদ সরকার মার্কিন প্রশাসনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে ওয়াশিংটনের সঙ্গে জোট সহযোগিতা খণ্ড করে তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি) গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি স্থাপন করুক৷
খানের পিটিআই দলের কর্মসূচি পাকিস্তানের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটি বড় অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য, কেননা খান দুর্নীতি প্রতিরোধ ও রাজনৈতিক জবাবদিহিতা প্রভৃতি প্রসঙ্গের উপর বিশেষ জোর দিয়ে থাকেন৷
ডয়চে ভেলে: নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য অনুপযোগী ঘোষিত হওয়ার পর পাকিস্তানে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলিতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে৷ তাদের এই উদ্বেগ কি যুক্তিযুক্ত?
ইমরান খান: ঐ উদ্বেগ পুরোপুরি অযৌক্তিক, কেননা পাকিস্তান গণতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছে৷ গণতন্ত্রের ধারক হলো স্বচ্ছতা, নেতৃবর্গের জবাবদিহিতা, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, নিরপেক্ষ মিডিয়া ও নিরপেক্ষ বিচারবিভাগ৷ সব ক'টি উপাদানই পাকিস্তানে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে, বলে আমি দেখতে পাচ্ছি৷ গণতন্ত্রের পরিবর্তে পাকিস্তানে এতদিন চৌর্যতন্ত্র চলেছে৷ কিন্তু এখন অবস্থার উন্নতি ঘটছে৷ পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম একজন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে কালো টাকা সাদা করা, দুর্নীতি ও নথি জাল করার দায়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে৷
কিছু কিছু মানুষ শুধু টাকা করার জন্য রাজনৈতিক ক্ষমতা পাবার চেষ্টা চালিয়ে এসেছেন৷ যখনই সেনাবাহিনী দেশের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছে, তখনই জনগণ হর্ষ প্রকাশ করেছে৷ কিন্তু এবার সেনাবাহিনী সক্রিয় হচ্ছে না৷ আমার মতে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর গণতন্ত্র আরো জোরদার হবে৷ যিনিই ক্ষমতায় আসুন, দুর্নীতিতে লিপ্ত হবার আগে তিনি দু'বার ভেবে দেখবেন৷
পাকিস্তানের উদারপন্থিরা ছাড়া পশ্চিমের বহু রাজনৈতিক ভাষ্যকারও প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের অপসারণকে একটি ‘বিচারবিভাগীয় অভ্যুত্থান' বলে অভিহিত করেছেন৷ দেশের শক্তিশালী সেনাবাহিনী শরিফকে বিতাড়নের জন্য আপনাকে ও আপনার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলকে ব্যবহার করেছে, এমনই ধারণা তাদের৷ এ বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য?
ওটা একটা রসিকতা৷ আমি জানি না কারা নিজেদের উদারপন্থি বলে আর এ ধরনের বোকা বিবৃতি দেয়৷ প্রথমত, শরিফের নিজের হাতে এই সেনাপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন; এছাড়া মাত্র গত ডিসেম্বর মাসে শরিফ পকিস্তানের চিফ জাস্টিসের নিয়োগকে সহর্ষ অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
এরা দু'জনে মিলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় অভ্যুত্থান করতে যাবেন কী কারণে?
শরিফ পানামা পেপার্স বা পানামা লিক নামের একটি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন৷ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকেও ব্যাখ্যা করতে হয়েছে, পানামা লিকে তাঁর নাম ঢুকল কী করে? আমরা, পাকিস্তানের বিরোধীদলেরাও শরিফের কাছে তাঁর আয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছি, বিশেষ করে যখন সেই আয়ের সঙ্গে একাধিক অফশোর কোম্পানি সংশ্লিষ্ট যারা দৃশ্যত লন্ডনে একাধিক বিলাসবহুল আবাসনের মালিক৷
সুপ্রিম কোর্টের দু'টি বেঞ্চ যে সব প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে, শরিফ তার জবাব দিতে পারেননি৷ বিষয়টির তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা গঠিত জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিটি (জেআইটি)-র কাছেও শরিফ তাঁর আয়ের উৎস প্রমাণ করতে পারেননি৷ (প্রমাণ দেখাতে) ব্যর্থ হবার পর উনি আদালতের কাছে ওনার আয়ের উৎস সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছেন৷ উনি জাল নথিপত্র দাখিল করেছেন৷ কাজেই এটাকে বিচারবিভাগীয় অভ্যুত্থান বলাটা কীভাবে সম্ভব?
বস্তুত ইতিহাসে এই প্রথমবার আমরা পাকিস্তানের চিফ অফ আর্মি স্টাফকে দু'বার প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা করতে শুনেছি যে, সেনাবাহিনী পাকিস্তানের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে সমর্থন করে৷ (পশ্চিমি) বিশ্লেষকরা যা বলছেন , তা দুর্নীতি মামলায় ধরা পড়ার পর নওয়াজ শরিফের অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়৷
আপনার দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ছিল শুধু রাজনীতিকদের লক্ষ্য করে৷ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর জেনারেলদের দুর্নীতি বা দেশের শিল্পসংস্থাগুলির দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনি কোনো আন্দোলন শুরু করেননি কেন?
জেনারেল পারভেজ মুশাররফ ক্ষমতায় থাকাকালীন আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি৷ মুশাররফের আমলে আমিই ছিলাম একমাত্র রাজনীতিক, যাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল৷ আমি যে ওদের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলিনি, তা সত্য নয়৷ কিন্তু বর্তমানে আমাদের একটি গণতান্ত্রিক সরকার আছে, সেই সরকারপ্রধান, এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হলেন ওদের (আর্মি জেনারেলদের) কাছে জবাবদিহি চাওয়ার মূল কর্তৃপক্ষ৷
আমি জেনারেলদের জবাবদিহিতা দাবি করব কি করে, যখন দেশের মুখ্য প্রশাসনিক ক্ষমতা একজন বেসামরিক ব্যক্তির উপর ন্যস্ত? কাজেই আমি সেই মুখ্য প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধেই অভিযান চালিয়েছি, যিনি দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়ে পড়েছেন৷
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সামরিক একনায়ক পারভেজ মুশাররফ একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, মিলিটারি জেনারেলদের চেয়ে রাজনীতিকরাই পাকিস্তানের বেশি ক্ষতি করেছেন৷ মুশাররফের বিরুদ্ধেও আদালতে একাধিক মামলা ঝুলছে৷ কিন্তু সে সব মামলা সম্বন্ধে আপনি অথবা আপনার দলের কর্মকর্তারা বিশেষ কিছু বলেন না কেন?
জেনারেল মুশাররফ যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আমি তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেছি৷ আসিফ আলি জরদারি যখন ক্ষমতায় আসেন তখন আমি তাঁকে মুশাররফকে দায়ী করতে বলেছিলাম কেননা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন – কিন্তু জারদারি কোনো আগ্রহ দেখাননি৷ আপনাদের যে প্রশ্নটা করা উচিত, সেটা হলো: শরিফ মুশাররফের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি কেন?
শরিফ যখন ক্ষমতায় ছিলেন না, তখন তিনি মুশাররফকে দায়ী করার কথা বলতেন৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবার পর তিনি কিছুই করেননি৷ আমরা তাঁকে বলতে শুনতাম যে, তিনি মুশাররফ আর জরদারিকে দায়ী করবেন – কিন্তু ও সব ছিল শুধু মুখের বুলি৷
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে আপনি পশ্চিমের সঙ্গে – বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক কামনা করবেন?
আমার মতে পাকিস্তানের সবসময়েই সুসম্পর্ক থাকা উচিত, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে – অর্থাৎ ইরান, আফগানিস্তান, ভারত ও চীন – তারপর পশ্চিমের সঙ্গেও সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা দরকার৷ আমরা চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই কেননা পাকিস্তানের সমৃদ্ধি নির্ভর করছে চীনের উপর৷ বেইজিং তার চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর (সিপিইসি) প্রকল্পের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে৷
ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও পাকিস্তানের মুখ্য বাণিজ্যিক সহযোগীদের মধ্যে গণ্য এবং আমি তাদের সাথেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সমর্থন করব৷
আপনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা কামনা করেন, যে জন্য অনেকে আপনার সমালোচনা করে থাকে৷ আপনি সন্ত্রাসী আক্রমণের জন্য জিহাদি গোষ্ঠীগুলির নিন্দা করতে প্রস্তুত নন এবং ঐ সব আক্রমণের জন্য আফগানিস্তানে মার্কিন হস্তক্ষেপকে দায়ী করে থাকেন৷ আপনি কি সত্যিই মনে করেন না যে, পাকিস্তানের সামরিক মহল আফগানিস্তান ও কাশ্মীরে কিছু ইসলামপন্থি গোষ্ঠীকে সমর্থন করছে, অথবা পাকিস্তানে ইসলামি কার্যকলাপের প্রসঙ্গটি আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লেষের চেয়ে অনেক বেশি পুরনো?
এগুলো শুধু তাদের অভিযোগ, যারা জিহাদি আন্দোলন বা তালেবান অথবা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে কি ঘটছে, সে ব্যাপারে কিছু বোঝে না৷
সামরিক সমাধান ব্যর্থ হয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তালেবানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে চায়, কেননা ওয়াশিংটন সামরিক পন্থায় আফগানিস্তানে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করতে পারেনি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে কোটি কোটি ডলার খরচা করেও সাফল্য পায়নি৷
এবং আপনারা জানেন যে, সোভিয়েত অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স ও মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টলিজেন্স এজেন্সি মিলে এই জিহাদি সংগঠনগুলোকে সৃষ্টি করে৷
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়া পর পাকিস্তান এই জিহাদি সংগঠনগুলিকে নিয়ে একা পড়ে থাকে৷ নাইন-ইলেভেনের আক্রমণের পর ওয়াশিংটন এই জিহাদি গোষ্ঠীগুলিকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের ধাওয়া করতে শুরু করে – ঠিক যে মানুষগুলোকে ওরা একদিন ‘হিরো’ বলে বাহবা জানিয়েছিল৷
পাকিস্তান এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে একটি ‘ফ্রন্টলাইন স্টেট’ হয়ে দাঁড়ায়৷ পাকিস্তানকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে; আমরা এই যুদ্ধে ৭০,০০০ মানুষ হারিয়েছি, যদিও এই যুদ্ধের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্কই নেই৷ আমার মতে আমাদের এই যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত৷
সবশেষে আপনি ভারতের সাথে কী ধরনের সম্পর্ক চান? পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের চেষ্টা করলেই তিনি সামরিক মহলের রোষে পড়েন, বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷ আপনি কি মনে করেন যে, প্রধানমন্ত্রী হলে আপনি পাকিস্তানের বিদেশনীতি ও প্রতিরক্ষা নীতি পুরোপুরি বেসামরিক নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন?
ওটা স্রেফ প্রোপাগান্ডা৷ অতীতে হয়ত তা হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু আজ পাকিস্তানের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে যে, ভারতের সঙ্গে শান্তি বিরাজ করা উচিত৷ সকলেই জানে যে, ভারতে এখন এক হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাবাদী, নরেন্দ্র মোদী শাসন করছেন৷ ওঁর একমাত্র কর্মসূচি হলো পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করা৷ এভাবে আমরা শান্তি স্থাপন করতে পারি না৷ ভারতে যা কিছু ঘটুক, মোদী তার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেন৷ উনি কখনো শান্তি প্রক্রিয়ায় সামিল হবার কথা ভাবেন না, শুধু তাকে বানচাল করতে চান৷
এছাড়া উনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদে প্ররোচনা দেবার অভিযোগ করে থাকেন, কিন্তু তা সত্য নয় কেননা মোদী সরকার স্বয়ং একটি স্থানীয় আন্দোলনের বিরুদ্ধে নির্মম সহিংসতা প্রয়োগ করছেন৷ সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ঐ একই রাজনৈতিক দল বিজেপি-র সদস্য হলেও, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি সবসময় শান্তির ধাণাটিকে সমর্থন করে এসেছেন৷
ইমরান খান পাকিস্তানের একজন বিশিষ্ট বিরোধী রাজনীতিক৷ তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেতা৷ রাজনীতিতে আসার আগে তিনি ক্রিকেট তারকা হিসেবে স্বদেশে ও বিদেশে সুপরিচিত ছিলেন৷
শাহ মীর বালোচ, শামিল শামস/এসি
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...