উত্তেজনা বেড়েই চলেছে
৯ আগস্ট ২০১৭প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়াম দ্বীপের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা ভাবছে উত্তর কোরিয়া৷ সেখানে এক মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে৷ বুধবার সে দেশের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে৷ দেশের সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সিদ্ধান্ত নিলেই হামলা চালানো হবে৷
আরেকটি বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধমূলক যুদ্ধের' প্রস্তুতির অভিযোগ এনেছে৷ এমন যুদ্ধ শুরু করলে অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে পুরোপুরি যুদ্ধ চালাবে সে দেশ৷ এমনকি মার্কিন ভূখণ্ডেও হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া নতুন করে অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে আরও হুমকি দিলে সে দেশের উপর এমন মারাত্মক হামলা চালানো হবে, যেমনটা গোটা বিশ্বে কেউ কখনো দেখে নি৷ মার্কিন প্রশাসন অবশ্য আন্তর্জাতিক স্তরে কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে বর্তমান সংকটের সমাধান করতে চায় বলে জানিয়েছে৷ প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপের পথও খোলা রাখা হয়েছে৷
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বাস্তব হয়ে উঠেছে৷ অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁজিবাজারে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্যও কিছুটা পড়ে গেছে৷ ‘ব্ল্যাক সোয়ান' বা বড় মাপের অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য বাজার এখনো প্রস্তুত নয় বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷
বুধবার নাগাসাকি শহরে মার্কিন পরমাণু হামলার ৭২ বছর পূর্তির দিনে জাপানেও যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে৷ মঙ্গলবার সে দেশ কোরীয় উপদ্বীপের কাছে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া চালিয়েছে৷
ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া সাফল্যের সঙ্গে ছোট আকারের ‘মিনিয়েচার' পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেছে, যা তাদের ক্ষেপণাস্ত্রে বসানো যেতে পারে৷ তবে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে পরমাণু হামলার ক্ষমতা আয়ত্ত করলেও জটিল এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামেরিকায় হামলা চালানো কঠিন হবে৷ বিশেষ করে মহাকাশে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর আবার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার স্তরটি অত্যন্ত জটিল৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)